ফের সেনা -জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে অশান্ত জম্মু-কাশ্মীর। এই এনকাউন্টারে এখনও পর্যন্ত দুই জঙ্গির মৃত্যুর খবর জানান হয়েছে কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে। বারামুলা জেলার  সোপোরের ওয়ারপোরা গ্রামে ২ জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে, গোপন সূত্রে এমন খবর বলে খবর পেয়ে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।
 
এরপর ওয়ারপোরাতে শুরু হয় গুলির লড়াই। পুলিশের তরফে জানান হয়েছে প্রথমে জঙ্গিরাই গুলি চালাতে শুরু করে। যদিও পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি ভারতীয় জওয়ানরা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত দুই জঙ্গি লস্কর জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য। এদের মধ্যে এক জঙ্গি ফায়াজ ওয়ারের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা, সাধারণ নাগরিক ও জওয়ান খুন-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। উত্তর কাশ্মীরে একাধিক হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন ফায়াজ, জানিয়েছেন কাশ্মীর আইজিপি।  


এদিকে, ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ একাধিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ-সহ নানা অবৈধ সামগ্রীও উদ্ধার করেছে। কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে জানান হয়েছে তল্লাশি অভিযান এখনও জারি রয়েছে।  


জম্মু কাশ্মীরে গত তিন মাসে পাক জঙ্গিদের উপদ্রব ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে তিন মাসে প্রায় ১৬টি এনকাউন্টার হয়েছে ভূস্বর্গে। এখনও পর্যন্ত খতম হয়েছে ৮৬ জঙ্গি। এর মধ্যে জুলাইতেই প্রায় ১০টি এনকাউন্টার হয়েছে। এই সকল তল্লাশি অভিযান এবং এনকাউন্টারে সাফল্যও পেয়েছে ভারতীয় সেনা। 


সম্প্রতি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা ও পরবর্তীতে একাধিকবার জম্মুর আকাশে ড্রোনের ঘোরাফেরা নিয়ে অশান্ত হয়েছে উপত্যকার পরিস্থিতি। পুলওয়ামা, শ্রীনগরে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি নিকেশ করেছে সেনা। এছাড়াও কুলগেম পাওয়া গিয়েছিল ২০ কেজি বিস্ফোরক আইডির হদিশ। পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার কম্যান্ডার আয়াজ ওরফে আবু হুরেইরার মৃত্যু হয়েছে সাম্প্রতিক এনকাউন্টারে। 


তবে শুধু জঙ্গিরা নয়। এনকাউন্টার কেড়েছে সাধারণ নাগরিক ও সেনাদের প্রাণও। সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে ১৫ জন জওয়ান ও ১৯ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে গত তিন মাসে। যদিও সেনা সূত্রে খবর এখনও সক্রিয় রয়েছে উপত্যকার একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠী। সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরা ঢুকে পড়ছে ভূস্বর্গে।