নয়াদিল্লি: আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে হলেন নরম, আবার আন্দোলনের প্রতি দিলেন কড়া বার্তা। রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের খোলামনে আলোচনার টেবিলে বসতে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধাননমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘আলোচনার রাস্তা সবসময় খোলা আছে। আন্দোলনকারীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসুন, আন্দোলন প্রত্যাহার করুন।‘ যদিও দিল্লি সীমান্তে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনে বহিরাগতদের ইন্ধন প্রসঙ্গে খোঁচাও দেন তিনি। বুঝিয়ে দেন সরকার এই বিষয়ে মোটেই নমনীয় হবে না। প্রধানমন্ত্রী জোড়েন, ‘এতদিন শ্রমজীবী, বুদ্ধিজীবীর কথা শুনেছি। এখন নতুন এক শ্রেণি হয়েছে, তাঁরা আন্দোলনজীবী। আমাদের সেইসব মানুষকে খুঁজে বের করতে হবে। দেশকে আন্দোলনজীবীদের হাত থেকে বাঁচাতে হবে।’
কৃষি আইন কৃষকদের স্বার্থেই, রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে ফের একবার সওয়ালও করেন নরেন্দ্র মোদি। আন্দোলনরত কৃষকদের আশ্বস্ত করতে ফের একবার তিনি বললেন, ‘এমএসপি ছিল, আছে, থাকবে।’ সঙ্গে বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে তিনি জোড়েন, ‘আইনের সুফল নিয়ে কোনও বিরোধী দল কথা বলছেন না। আইনে কোথাও ভুল থাকলে সেটা ঠিক করা হবে।কৃষক আন্দোলন নিয়েও অনেক কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষিমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাব কেউ দিচ্ছে না।’
আগের ইউপিএ সরকারের ভূমিকা, বাংলায় তৃণমূল সরকারের ভূমিকা নিয়েও খোঁচা দেন তিনি।পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার যে কৃষকদের নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত তা তথ্য দিয়ে সামনে তুলে ধরেন মোদি। তিনি বলেছেন,'দেশে ৩৩ শতাংশ কৃষকের কাছে জমি ২ বিঘের কম। ১৮ শতাংশ কৃষকের কাছে ২-৪ বিঘে জমি আছে। আজ দেশে ছোট কৃষকের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ। ৮৬ শতাংশ কৃষকের জমি ২ হেক্টরের কম। এমন কৃষকের সংখ্যা দেশে ১২ কোটির বেশি। এই ক্ষুদ্র কৃষকদের সম্পর্কে চিন্তা আমাদের করতে হবে। ক্ষুদ্র কৃষক ঋণ মকুবের সুবিধা পান না। কারণ তাঁদের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট নেই। সেচের সুবিধাও ক্ষুদ্র কৃষকদের ভাগ্যে নেই। বিমার সুবিধাও ক্ষুদ্র কৃষকরা পান না ২০১৪-র পর ফসল বিমার আওতায় ক্ষুদ্র কৃষকদের আনা হয়েছে। ছোট কৃষকদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার সুবিধা পাচ্ছেন।'