তিরুঅনন্তপুরম: ভোটের ফলাফলে এবারে প্রথমবার চমক দিয়েছেন কেরলবাসী। আগের চেনা পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলানোর প্রথা ভেঙে ফের একবার বামপন্থীদেরই ক্ষমতায় বসিয়েছে তারা। নতুন করে ফের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন পিনারাই বিজয়ন। কিন্তু আগামী পাঁচবছরের জন্য তাঁর সহ-মন্ত্রীদের বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় চমক দিল কেরলের বাম সরকার।


আগের পিনারাই বিজয়ন সরকারের ২১ জন মন্ত্রীকেই এবারের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যে তালিকায় অবশ্যই সবথেকে বড় চমক কেকে শৈলজারও বাদ পড়া। আগের বছর কেরলে কোভিডের প্রথম ধাক্কা সামলাতে কেকে শৈলজার ভূমিকা শুধু দেশই নয় প্রশংসিত হয়েছিল গোটা বিশ্বজুড়ে। ৬৪ বছরের স্কুল শিক্ষিকা এবারে কুন্নুর জেলায় তাঁর বিধানসভা আসন থেকে ৬০ হাজারেরও বেশি রেকর্ড মার্জিনে জিতেছেন। কিন্তু তার পরও তাঁকে বাদ পড়তে হল কেরলের নবগঠিত মন্ত্রিসভা থেকে। তাঁকে অবশ্য পার্টির চিফ হুইপের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ছাড়া যে ২১ জন মন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন তাদের সকলেই নবাগত ও তুলনামূলক দলের তরুণ ব্রিগেডের সদস্য। আগে জানানো হয়েছিল আগের ১২ জন মন্ত্রী নতুন মন্ত্রিসভায় থাকবেন। কিন্তু মন্ত্রিসভা গঠনের সময় দেখা গেল বাদ দেওয়া হয়েছে সবাইকেই। যা নিয়ে সিপিআইমের বিধায়ক এএন সামসের বলেছেন, 'পার্টির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ছাড়া আগের মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যই এবারে দায়িত্বে থাকবেন না।'


যদিও কেকে শৈলজাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে কেরলের বাম সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। কংগ্রেসের সাংসদ ট্যুইটারে লেখেন, 'কেরলের ক্যাবিনেটে কেকে শৈলজার স্থান না পাওয়াটা দুঃখজনক। জনপ্রিয়তা পাশাপাশি উনি যেভাবে গতবারে কেরলের কোভিড ধাক্কা সামলাতে যেরকম দক্ষ ভূমিকা নিয়েছিলেন তা সকল রাজ্যবাসী মনে রেখেছেন। আপনার মন্ত্রিসভায় না থাকা মিস করব।' শুধু করোনাই নয় আগে নিপাহ ভাইরাস রোদের সময়ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামলেছেন কেকে শৈলজা।