জয়পুর : সভাস্থলে তখন ৪০টি বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মী-সমর্থকরা। ভিড়ে ঠাসা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বক্তব্য রাখবেন বলে কথা। তিনি এলেন। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১০টা। কিন্তু, তিনি বক্তব্য রাখলেন না । উপরন্তু, ক্ষমা চেয়ে নিলেন। হ্যাঁ, দেরিতে আসায় রাজস্থানের (Rajasthan) শিরোহি এলাকায় আবু রোডে নির্ধারিত সভামঞ্চে কোনও বক্তব্য পেশ করলেন না মোদি। তবে, ফের শিরোহিতে আসার আশ্বাস দেন তিনি।


কী বললেন প্রধানমন্ত্রী ?


কোনও মাইক না নিয়েই তিনি বলেন, "আমার আসতে দেরি হয়ে গেছে। এখন রাত ১০টা বাজে। আমার বিবেক বলছে, নিয়ম-কানুন মানা উচিত। তাই, আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু আপনাদের কথা দিচ্ছি, আবার আসব এবং আপনারা যে ভালবাসা ও স্নেহ দিয়েছেন তা সুদ সমেত ফেরত দেব।"


এরপরই "ভারত মাতা কি জয়" স্লোগান তোলেন প্রধানমন্ত্রী। মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা সভাস্থল। 


সভাস্থলে প্রধামন্ত্রীকে স্বাগত জানান- বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, রাজস্থান বিধানসভার বিরোধী দলনেত গুলবা চন্দ কাটারিয়া ও তাঁর ডেপুটি রাজেন্দ্র রাঠৌর। মোদির সভায় যোগ দিতে আসেন শিরোহি, দুঙ্গারপুর, বাঁশওয়াড়া, চিতোরগড়, প্রতাপগড়, পালি, উদয়পুর ও নিকটবর্তী এলাকা থেকে ...সব মিলিয়ে প্রায় ৪০টি বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মী-সমর্থকরা। এমনই খবর দলীয় সূত্রের।


এই সভা থেকেই দক্ষিণ রাজস্থানের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। তাই প্রধানমন্ত্রীর বিশাল সভার আয়োজন করা হয়। ভোটমুখী গুজরাতের পাশেই রয়েছে এই মরুরাজ্যটি। কংগ্রেস-শাসিত রাজস্থানে পরের বছর বিধানসভা নির্বাচন। গুজরাতের বনসকথা জেলার আম্বাজি মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর আবু রোডে পৌঁছন মোদি। শহরে একটি সভায় বক্তব্য রাখার পর তিনি মন্দির দর্শনে যান।


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মরুরাজ্যে সঙ্কট দেখা যায় ক্ষমতাসীন কংগ্রেস শিবিরে। কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে অশোক গহলৌত পা বাড়ানোর পর রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয় মরুরাজ্যে। অশোক গহলৌত- সচিন পাইলট শিবিরের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। দলের মধ্যে এই বিভেদ মেটাতে উদ্যোগ নেয় হাইকম্যান্ড। কিন্তু, প্রাথমিকভাবে সেই উদ্যোগ বিফলে যায়। মল্লিকার্জুন খাড়গে, অজয় মাকেনের রিপোর্টের ভিত্তিতে গহলৌত ঘনিষ্ঠ তিন নেতাকে শোকজ করে এআইসিসি। দিল্লির কংগ্রেস শিবিরের একাধিক নেতার দাবি, গহলৌত শিবিরের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের গরিমা নষ্ট করা হয়েছে।


আরও পড়ুন ; মহারাষ্ট্র মডেলে সরকার ফেলার চেষ্টা! গহলৌতের তোপ, বিদ্রোহে ঘনিষ্ঠদের শোকজ