নয়া দিল্লি : বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ ও অন্যান্য নেতারা। আজ সংসদ চত্বরে বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।


এর আগে রাঁচিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভগবান বিরসা মুন্ডা স্মৃতি উদ্যান ও স্বাধীনতা সংগ্রামী মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখেন। বলেন, জীবনের খুব অল্প সময়ের মধ্য়ে দেশের জন্য সম্পূর্ণ ইতিহাস লিখেছিলেন বিরসা মুন্ডা। তাঁর লড়াই ভারতের বহু প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা ও দিশা দেখিয়েছে। প্রভু বিরসা সমাজের জন্য বাঁচতেন। নিজের সংস্কৃতি, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাই তো তিনি আমাদের বিশ্বাস ও আত্মায় ঈশ্বর হিসাবে বিরাজ করছেন। 


তিনি আরও বলেন, বিরসা মুন্ডা জানতেন যে, আধুনিকতার নামে বৈচিত্র্য়ের ওপর হামলা, প্রাচীন পরিচিতি বা প্রকৃতিকে মুছে দিয়ে সমাজের কল্যাণ সম্ভব নয়। উনি আধুনিক শিক্ষার পক্ষে ছিলেন। পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন। অশুভ দিকের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখিয়েছিলেন। ভারতের আদিবাসী সমাজের পরিচিতি মুছে দেওয়ার ভাবনার বিরুদ্ধে লড়াই ছিল বিরসা মুন্ডার। 


আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা বিরসা মুন্ডা যিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁর জন্মজয়ন্তীকে জনজাতীয় গৌরব দিবস হিসাবে উদযাপন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সংযোজন, স্বাধীনতার এই অমৃতকালে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আদিবাসী ঐতিহ্য ও বীরত্বের কাহিনিকে আরও বড়সড় পরিচিতি দেওয়া হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আজ থেকে প্রতি বছর নভেম্বরের ১৫ তারিখে বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপন করা হবে। উল্লেখ্য, ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর মুন্ডা সম্প্রদায়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিরসা মুন্ডা। তাঁর জন্মজয়ন্তীকে বিরসা মুন্ডা জয়ন্তী হিসেবে গোটা দেশে এবং ঝাড়খণ্ড প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।