নয়া দিল্লি : রাখিবন্ধন (Rakhi Bandhan) উৎসব উপলক্ষে রাখি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। রাখি পাঠালেন তাঁর 'পাকিস্তানি বোন' কামার মহসিন শেখ। এর পাশাপাশি আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য মোদিকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কামার মহসিন শেখ বলেন, আশা করছি, এবার উনি (প্রধানমন্ত্রী) আমায় দিল্লি ডেকে পাঠাবেন। আমার সমস্ত প্রস্তুতি সারা হয়ে গেছে। এমব্রয়ডারি ডিজাইনে রেশমি রিব্বন সহযোগে আমি রাখি তৈরি করেছি।
এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার কথাও জানান তিনি। বলেন, আমি একটা চিঠি লিখে ওঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেছি। যেমন ভাল কাজ করে থাকেন, সেরকমই কাজ করে যান। কোনও সন্দেহ নেই, ২০২৪-এও উনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। উনি তাঁর যোগ্য। কারণ, সেই সক্ষমতা আছে। আমি চাই, উনি প্রত্যেকবার প্রধানমন্ত্রী হোক।
আরও পড়ুন ; রাখি পূর্ণিমায় ছুটি ঘোষণা রাজ্য সরকারের
গত বছরও কামার মহসিন শেখ প্রধানমন্ত্রীকে একটি রাখি ও রাখিবন্ধনের কার্ড পাঠিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গ-রাখিবন্ধন উৎসব-
রাখি পূর্ণিমা। রাখি উৎসব কিংবা রাখি বন্ধন। ভাই-বোনের ভালোবাসাকে উৎসর্গ করা এই দিন। রাখি বন্ধন শুধু কোনও অনুষ্ঠানই নয়, বহু যুগ ধরে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু এবং মঙ্গল কামনা করে তাদের হাতে রাখি পরিয়ে দেয় বোনেরা। পরিবর্তে বোনের সম্মান এবং সুরক্ষার দায়িত্বও নেয় ভাইয়েরা। কিন্তু কেন পালন করা হয় রাখি বন্ধন উৎসব ? কী মাহাত্ম্য এই বিশেষ দিনের?
কী রয়েছে পুরাণে ?
পুরাণ অনুযায়ী, মহাভারতে যুদ্ধের সময় একবার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আঘাত লাগে। সেই সময়ে দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির অংশ ছিঁড়ে শ্রীকৃষ্ণের হাতে বেঁধে দিয়েছিলেন। এবং এরপর শ্রীকৃষ্ণ সুস্থও হয়ে যান। পরবর্তীতে দ্রৌপদীর সমস্ত সুরক্ষা এবং সম্মান রক্ষার ভার নিয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তাই দুর্যোধন যখন দুঃশাসনকে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের আদেশ দেন, তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীর সম্মানরক্ষার দায়িত্ব নেন এবং অদৃশ্য থেকে নিজে স্বয়ং বস্ত্ররূপে দ্রৌপদীকে আবৃত করতে থাকেন। যা হরণ করা সম্ভব হয়নি দুঃশাসনের পক্ষে।
রীতি অনুযায়ী, শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমায় প্রতি বছর দেশ জুড়ে পালিত হয় রাখি বন্ধন উৎসব। এদিন বোনেরা ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করে তাদের হাতে রাখি বেঁধে দেয়। যদিও প্রতি বছর একই দিনে রাখি উৎসব পালন করা হয় না। শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমায় চাঁদের অবস্থান দেখেই এর দিন নির্ধারণ করা হয়।