করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ঘায়েল দেশ। রোজই হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে বাড়ছে আতঙ্ক। আবার লকডাউন হবে না তো? আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিকরা। এই পরিস্থিতিতে করোনা  নিয়ে এই প্রথম জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। আশ্বস্ত করলেন, লকডাউন শেষ অস্ত্র। নিজেদেরই সাবধান হতে হবে। দেশের যুবসমাজ উদ্যোগী হলে, লকডাউনের পরিস্থিতি হবে না। সকলকে যথাসম্ভব বাড়িতে থাকার আবেদন জানালেন মোদি। তিনি আর যা যা বললেন - 

 - ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে গোটা দেশ’
- ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঝড়ের মতো আছড়ে পড়েছে’
- ‘যারা পরিজনদের হারিয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা’
- ‘চ্যালেঞ্জ কঠিন, কিন্তু আমরা লড়াই চালিয়ে যাব’
- ‘কঠিন থেকে কঠিনতম সময়েও ধৈর্য্য হারালে চলবে না’
- ‘এবার করোনার সংক্রমণে দেশের অনেক জায়গায় অক্সিজেনের সঙ্কট’
- ‘অক্সিজেনের সঙ্কট মেটাতে সংবেদনশীলতার সঙ্গে কাজ চলছে’
 - ‘কেন্দ্র, রাজ্য, বেসরকারি সংস্থা-সবাই একসঙ্গে কাজ করছে’
- ‘রাজ্যে নতুন অক্সিজেন প্ল্যান্ট, ১ লক্ষ সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে’
‘জানুয়ারির তুলনায় দেশে ওষুধের উৎপাদন বাড়ানোর কাজ চলছে’
- ‘বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে ভারত’
- ‘প্রবীণরা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন, এটা লড়াইয়ে বড় শক্তি’
- ‘১৮ বছর পেরোলেই ভ্যাকসিন পাবেন, সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে’
- ‘হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে’
- ‘কেন্দ্র-রাজ্যের উদ্যোগে শ্রমিকরাও ভ্যাকসিন পাবেন’
- ‘পরিযায়ী শ্রমিকরা যে যেখানেই আছেন, সেখানেই থাকুন’
- ‘আগের বার যে পরিস্থিতি ছিল, তা ছিল অন্যরকম’
 - ‘রাজ্য সরকারকেও পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থাকতে বলব’
- ‘পরিযায়ী শ্রমিকরা কেউ শহর ছাড়বেন না’
- ‘সবাই মিলে করোনাকে পরাস্থ করতেই হবে’
- ‘খুব প্রয়োজন না হলে, কেউ ঘর থেকে বেরোবেন না’
- ‘এই মুহূর্তে দেশকে লকডাউনের থেকে বাঁচাতে হবে’ ‘লকডাউন এড়াতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
- ‘করোনা মোকাবিলায় লকডাউন সর্বশেষ অস্ত্র’

যদিও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরই একপ্রকার ক্ষুরধার আক্রমণ করেন বিরোধীরা। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সৌগত রায় বলেন, করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবেই তো নির্বাচন কমিশনের কাছে বাকি দফা একদিনে করার অনুরোধ করেছিল তাঁর দল। কিন্তু কমিশন তো তাঁদের কথা শোনেইনি। তাহলে প্রধানমন্ত্রী বাড়ি থেকে কম বেরোনোর কথা বলছেন কীভাবে ?