নয়া দিল্লি: বহু সরকারি মন্ত্রকে বাকি থেকে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিল। সেই বকেয়া টাকার হিসেব মেটাতে হিমসিম খাচ্ছে বিদ্যুৎ মন্ত্রকও। দেশের এই সমস্যা সমাধানের জন্য সারা দেশ জুড়েই এখন প্রি-পেইড স্মার্ট মিটার বসতে চলেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসানোর। প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসানোর পর, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখনও বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের বোঝা মাথায় রয়েছে এই মন্ত্রকের।
কীভাবে কাজ হবে?
প্রিপেইড মিটার একদমই প্রিপেইড মোবাইলের মতো কাজ করবে। যতটা বিদ্যুৎ ব্যবহার সেই মত টাকা। টাকা না দিলে লাইন থাকবে না। প্রিপেইড মিটার দেশের অনেক জায়গায় ব্যবহার করা হয়। রিচার্জের মাধ্যমে এই পরিষেবা ব্যবহার করা করা যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের পর এটি সারা দেশে বাস্তবায়িত হবে এমনটাই খবর। সকল বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বাড়িতে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসানো হবে।
সরকারি দফতরে প্রি-পেইড বিদ্যুতের মিটার বসানোকে বাধ্যতামূলক করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় প্রি-পেইড বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অগ্রিম টাকা দিয়েই তা নিতে হবে বলে জানান হয়েছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের মতে, আর্থিক স্থিতি আনার জন্যই এই প্রচেষ্টা। রাজ্যগুলির জন্যও একটি মডেল হিসেবে কাজ করবে এই ব্যবস্থা।
এই স্কিমের অধীনে, পর্যায়ক্রমে কৃষি ভোক্তাদের বাদে সকল বিদ্যুৎ গ্রাহকদের জন্য প্রিপেইড স্মার্ট মিটারের ব্যবস্থা করা হবে। নগর ও গ্রামীণ স্থানীয় সংস্থা এবং সরকারি বোর্ড এবং কর্পোরেশন সহ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সব বিভাগে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার স্থাপনে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে সরকারি বিভাগগুলি এর জন্য যাতে একটি সঠিক আর্থিক বাজেট রাখে। বিদ্যুৎ পরিষেবাগুলি পাওয়ার জন্য এবং বকেয়া টাকার ঝক্কি মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক।