নয়াদিল্লি: সব জল্পনার অবসান। বিজেপি-বিরোধী দলগুলির তরফে ২০২২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Election 2022) সর্বসম্মত প্রার্থী করা হল যশবন্ত সিনহাকে। দিল্লিতে ১৮টি বিরোধীদলের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত। সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন এনসিপি (NCP) প্রধান শরদ পওয়ার। ২৭ জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন দেবেন যশোবন্ত সিন্হা। ১৮টি বিরোধীদলের বৈঠকে যোগ দিল ওয়েইসির ‘মিম’, কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপি, সিপিএম, সিপিআই, আরজেডি (RJD)। রাষ্ট্রপতি ভোটে পদপ্রার্থী নিয়ে বৈঠকে এসপি, ডিএমকে, আরএসপি। যশবন্ত সিন্হাকে সমর্থন আপ-টিআরএসের (TRS), দাবি পাওয়ারের। এর আগেই তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেছেন যশবন্ত সিনহা।
এদিন তাঁর নাম ঘোষণার আগেই তৃণমূল (TMC) থেকে পদত্যাগ করেন যশবন্ত সিনহা। তৃণমূলে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে ছিলেন তিনি। পদত্যাগ করে টুইটে তিনি লেখেন, 'মমতাজি আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এখন বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে আমাকে দলের কাজ থেকে সরে এসে বৃহত্তর বিরোধী ঐক্যের জন্য কাজ করতে হবে। আমি নিশ্চিত, তিনি আমার এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করবেন।'
বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত:
সংসদ ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিং-এ শুরু হয়েছিল বিরোধীদের বৈঠক। তার আগে সকালে শরদ পওয়ারের (Sharad Pawar) বাসভবনে বিরোধীদের বৈঠক হয়। তারপরে সাংবাদিক বৈঠক করে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হিসেবে যশবন্ত সিনহার নাম ঘোষণা করা হয়। একটি বার্তাও দেওয়া হয়েছে বিরোধীদের তরফে। সেখানে বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলির কাছে যশবন্ত সিনহাকেই সমর্থনের আবেদন জানানো হয়েছে, যাতে রাষ্ট্রপতি পদে ভোটাভুটি এড়ানো যায়। যশবন্ত সিনহার জন্য একটি প্রচার কমিটিও তৈরি করা হয়েছে.
মমতা-অভিষেকের টুইট:
‘সম্মানীয় ব্যক্তি, নিশ্চিতভাবে মহান দেশের মূল্যবোধকে তুলে ধরবেন’, যশবন্ত সিন্হার নামে সিলমোহর পড়ার পরেই ট্যুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যশবন্ত সিনহার নামে সিলমোহরের পরেই টুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি টুইটে লেখেন, ' এর চেয়ে আর ভাল কেউ প্রার্থী হতে পারতেন না।"
এর আগেও একবার মিটিং হয়েছিল। যেখানে ফারুক আবদুল্লা, শরদ পওয়ার এবং গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর নাম উঠে আসে। কিন্তু পরে তাঁরা সকলেই রাষ্ট্রপতি পদে লড়তে অসম্মতি প্রকাশ করেন। তারপরেই এদিন যশবন্ত সিনহার নাম ঘোষণা করা হয়। যশবন্ত সিনহা প্রাক্তন বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অটল বিহারী বাজপেয়ীর এনডিএ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। পরে সম্প্রতি তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।