নয়া দিল্লি : "ভারত জোড়ো যাত্রা" থেকে যে ইতিবাচক শক্তি আসছিল, তা রাহুল গাঁধীর (Rahul Gandhi) মন্তব্যে নষ্ট হয়ে গেল। স্বাধীনতা সংগ্রামী ভি ডি সাভারকারকে নিয়ে কংগ্রেস নেতার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র সমালোচনা শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের (Sanjay Raut)।
শিবসেনার মুখপত্র 'সামনা'-য় সাপ্তাহিক কলমে এ নিয়ে মন্তব্য করেন রাউত। প্রশ্ন তোলেন, রাহুল কেন এমন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করছেন যেটা মানুষের আবেগের সঙ্গ জড়িত। এটা বিজেপিকে মনোযোগ নষ্ট করার একটা সুযোগ করে দেবে।
ভারত জোড়া যাত্রার মধ্যেই সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে এক সাংবাদি বৈঠকে সাভারকারকে বিজেপি ও আরএসএসের প্রতীক বলে সম্বোধন করেন রাহুল। তিনি আরও দাবি করেন, প্রয়াত এই হিন্দুবাদী ব্রিটিশ শাসকদের সাহায্য করেছিলেন। এবং ভয়ে কৃপা ভিক্ষা করেছিলেন। তাঁর এই মন্তব্যের জেরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।
কী বলেন রাউত ?
সম্প্রতি আর্থিক তছরুপ মামলায় জামিন পান রাউত। তিনি বলছেন, "তিন মাস জেলে কাটিয়েছি। অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামীই আর্থার রোড জেলে ছিলেন। জেলে একটি স্মৃতিসৌধও আছে। সাধারণ বন্দী হিসেবে, জেলে একদিন কাটানোও কষ্টকর। সেই জায়গায় সাভারকার আন্দামান সেলুলার জেলে ১০ বছরের বেশি সময় কাটিয়েছেন। প্রচণ্ড করষ্ট করতে হয়েছে তাঁকে। ব্রিটিশরা তাঁকে আর্থিক তছরুপের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারি করেনি। তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। যে কারণে তাঁকে আন্দামানে পাঠানো হয়।"
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, রাউত তাঁর কলমে আরও লিখেছেন, এমনকী মহাত্মা গাঁধীও ইয়ং ইন্ডিয়ায় ১৯২০ সালের ২৬ মে তাঁর আর্টিকলে সাভারকার ও তাঁর ভাইয়ের মুক্তি দাবি করেন। ১৯২৩ সালে কংগ্রেসের বাৎসরিক সম্মেলনেও সাভারকারের মুক্তির দাবিতে রিজোলিউশন পাস করা হয়। রাউতের সংযোজন, "সাভারকারের সমালোচনা করা ভারত জোড়া যাত্রার এজেন্ডা নয়। সাভারকারের বিরুদ্ধে কথা বলে, রাহুল ভারত জোড়ো যাত্রার ইতিবাচক ক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাসকে নিভিয়ে দিয়েছেন।"
এদিকে দিনকয়েক আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর উদ্দেশে হুমকি চিঠি দেওয়া হয়। বোমা মারার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই এই হুমকিপত্র পান কংগ্রেস নেতা। সূত্রের খবর, ইন্দোরের জুনির একটি মিষ্টি দোকানে হুমকিপত্র পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন ; রাহুলকে হুমকি, ইন্দোরের মিষ্টির দোকানে পৌঁছল চিঠি