নয়াদিল্লি: সীমান্তে চিনা আগ্রাসন (China Border Row) নিয়ে নীরব কেন্দ্র। তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) তীব্র আক্রমণ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর (Rahul Gandhi)। পূর্বসুরি মনমোহন সিংহের (Manmohan Singh) সঙ্গে সরাসরি মোদির তুলনা টানলেন তিনি। রাহুলের দাবি, তাঁর আমলে চিন যদি এ ভাবে ভারতীয় ভূখণ্ড জবরদখল করত, তাহলে ঢের আগেই ইস্তফা দিয়ে দিতেন মনমোহন।
মঙ্গলবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাজস্থানের জয়পুরের কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাহুল। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন তিনি। চিনা আগ্রাসন নিয়ে আগেও একাধিক বার কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন তিনি। এ দিন রাহুল বলেন, “ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে নিয়েছে চিন। অথচ বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে বসে রয়েছেন মোদি। তাঁর আমলে এমন ঘটলে ঢের আগেই ইস্তফা দিয়ে দিতেন মনমোহন।”
এ দিন রাষ্ট্রীয় স্বয়মসেবক সঙ্ঘ (RSS)-কেও একহাত নেন রাহুল। দলের কর্মকর্তাদের ঘৃণা ছড়ানোর কাজে সঙ্ঘ ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেন রাহুল। তিনি বলেন, “ঘৃণা দিয়ে ঘৃণার মোকাবিলা সম্ভব নয়। ভালবাসা দিয়েই ঘৃণাকে রুখতে হবে।”
আরও পড়ুন: PM Modi : উদ্বোধনের পর টিকিট কিনে কানপুর মেট্রোয় সফর প্রধানমন্ত্রীর
সঙ্ঘ এবং বিজেপি-র মোকাবিলায় এ দিন জয়পুরে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের জন্য বিশেষ শিবিরের আয়োজন হয়। বিজেপি এবং সঙ্ঘের ঘৃণী নীতির মোকাবিলা করতেই এই শিবির বলে জানান রাহুল। জনে জনে কংগ্রেসের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে সকলকে অনুরোধ করেন তিনি। নেটমাধ্যমে বিজেপি এবং সঙ্ঘ ‘ভুয়ো জাতীয়তাবাদ নীতি’ প্রচার করছে বলে অভিযোগ করেন।
এ দিন কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত (Ashok Gehlot)-ও। তিনি বলেন, “বিজেপি এবং সঙ্ঘ ধর্মের রাজনীতি করে। কারণ এ ছাড়া ওডের কাছে আর কিছু নেই। কংগ্রেস মানুষের মনে বিরাজ করে।”
জয়পুরে তিন দিন ধরে চলবে কংগ্রেসে এই শিবির। তাতে রাহুলের সঙ্গে অংশ নেবেন সনিয়া গাঁধী (Sonia Gandhi)-ও।