নয়া দিল্লি : বিমান চালকদের জন্য নয়া সুযোগ টাটা গ্রুপের (Tata Group) মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) । অবসর নেওয়ার পর আরও পাঁচ বছরের জন্য হায়ার করা হবে পাইলটদের। বিমান পরিষেবায় স্থিতাবস্থার জন্য এই পদক্ষেপ। সংস্থার তরফে বলা হচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত পাইলটদের কমান্ডার হিসেবে পুনরায় হায়ার করতে চাইছে এয়ার ইন্ডিয়া। এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, এই কাজের জন্য অবসরপ্রাপ্তদের সম্মতি চাওয়া হয়েছে।
যে কোনও এয়ারলাইনে বিমান চালকরা অন্যতম 'সম্পদ'। তাই বিমান পরিষবার সঙ্গে যুক্ত অন্য ক্রেবিন ক্রু বা এয়ারক্র্যাফ্ট মেনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ারদের থেকে বেতনও বেশি। তাছাড়া অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাইলটের ঘাটতি সবসময় একটা সমস্যার বিষয় হয়ে থাকে। এইসব বিষয় মাথায় রেখেই এয়ার ইন্ডিয়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত।
কী বলছে এয়ার ইন্ডিয়া ?-
অভ্যন্তরীণ একটি মেলে এয়ার ইন্ডিয়ার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (পার্সোনেল) বিকাশ গুপ্তা বলেছেন, আপনাদের জানানো হচ্ছে যে অবসরের পরে আরও পাঁচ বছরের জন্য আপনাকে এয়ার ইন্ডিয়ার কমান্ডার হিসাবে চুক্তিবদ্ধ করার বিবেচনা করা হচ্ছে। ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে। অবসর-পরবর্তী চুক্তিতে আপনাকে ভাতা ও ফ্লাইং অ্যালাওয়েন্স দেওয়া হবে। এয়ার ইন্ডিয়ার পলিসি অনুযায়ী হবে এই চুক্তি।
আরও পড়ুন ; এয়ার ইন্ডিয়ার নয়া সিইও ঘোষণা টাটার
গত বছর অক্টোবর মাসে নিলামে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পায় টাটা সন্স। প্রায় ৬৯ বছর পর ফের টাটা গোষ্ঠীর হাতে আসে এয়ার ইন্ডিয়া। ১৮ হাজার কোটি টাকা দাম দিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা কেনে টাটা সন্স।
কোভিড পরিস্থিতি শুরু হওয়ায় যাত্রীসংখ্যা কমে যায় বিমানের। নতুন করে নানা দেশ থেকে ভারতের বিমানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যার জেরে মেইটেইন্যান্স কস্ট সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়াকে। যার ফলে নিলামে আরও কম বিডিং রাখা হয়।
বহুদিন ধরেই লোকসানে চলা এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে যার-তার হাতে এই এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রিতে সহমত ছিল না সরকার। তাই বিক্রির ক্ষেত্রেও তৈরি করা হয়েছিল বেশ কিছু মানদণ্ড। সে ক্ষেত্রে বিমান পরিষেবার সঙ্গে কোম্পানির সরাসরি যোগাযোগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে ইচ্ছুক কোম্পানিগুলিকে নিলামে অংশ নিতে কত বছর ও কোন কোন দেশে বিমান ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিল, তারও উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছিল ।
এ ছাড়াও কোম্পানির ব্র্যান্ড, গুডউইল ও মার্কেট ভ্যালু জানানোর কথাও বলা হয়েছিল কোম্পানিকে। এখানেই শেষ নয়, কর্মীদের রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট ও পেনশনের বিষয়ে বিগত দিনে কোম্পানি কী ব্যবস্থা করেছে, তা জানতে চাওয়া হয় বিডিং প্রসেসে। শেষমেশ সব যোগ্যতায় উতরে দায়িত্ব নেয় টাটা।