আগরতলা: আগরতলার আদালত থেকে জামিন পেলেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। সায়নীর জামিন মঞ্জুর করা হয়। খুনের চেষ্টার অভিযোগে গতকাল গ্রেফতার হন সায়নী ঘোষ।


জামিন পাওয়ার পর এবিপি আনন্দর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সায়নী বলেছেন, সত্যের জয় হয়েছে। সত্যের জয় হবে, তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। দলের নেতৃত্ব যেভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেজন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী বলেছেন, এখনও লড়াই শেষ হয়নি। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই চলবে। 


জামিন পাওয়ার পর আদালত থেকে বেরিয়ে আসেন সায়নী ঘোষ।  সেখানে ছিলেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসুর মতো তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। এদিনের শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী তৃণমূল নেত্রীর দুদিনের পুলিশ হেফাজতের আর্জি জানান। কিন্তু আদালত সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। 


আদালতে  সায়নী ঘোষের আইনজীবী সওয়াল করেন, ‘অভিযোগকারীর অভিযোগ ও পুলিশের বক্তব্যের মধ্যে ফারাক আছে’।


প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে,   ৩০ হাজার টাকার বেল বন্ডে জামিন পেয়েছেন সায়নী। জামিন পাওয়ার পর সায়নী বলেছেন, এটা রাজনৈতিক লড়াই। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরাল করবে তৃণমূল। সায়নী বলেন, "আজ হোক বা কাল, সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী। মহামান্য আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আর সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাব। লড়াই এখনও বাকি রয়েছে।" 


  এর আগে  সকালে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ত্রিপুরায় গ্রেফতার সায়নী ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। গ্রেফতারের পর, গতকাল রাতে আগরতলা পশ্চিম মহিলা থানায় রাখা হয় সায়নীকে। থানা চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। এদিন থানায় গিয়ে সায়নীর সঙ্গে দেখা করেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, সুস্মিতা দেব, অর্পিতা ঘোষরা। থানা থেকে বেরিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, রাজধর্ম পালন করছে না ত্রিপুরা পুলিশ। রাজনৈতিকভাবে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি, মন্তব্য ব্রাত্য বসুর।