আগরতলা: ত্রিপুরায় পুরসভা নির্বাচনের আগে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এবার তৃণমূল প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। আগরতলা পুর নিগমের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য জামিন পেয়ে যান তিনি।


প্রার্থী পান্না দেব প্রচারে বেরোলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ জানাতে এসপি অফিসে গেলে চ্যাংদোলা করে বার করে দেওয়া হয়।এরপর তাঁকে আগরতলা পশ্চিম মহিলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।


এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, ত্রিপুরায় বিজেপি জঙ্গলরাজ চালাচ্ছে। 


 






এদিকে, ত্রিপুরায় পুরনির্বাচনের আগে বিরোধী নেতাদের উপর ক্রমাগত হামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও  পুলিশ নির্বিকার বলে অভিযোগ বাম দলগুলির। এর প্রতিবাদে আগরতলায় পুলিশের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ  প্রদর্শন  করল সিপিএম।


এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের পাশে দাঁড়িয়ে হুমকি দিয়েছিলেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক। বলেছিলেন, তৃণমূল প্রার্থীকে দেখলেই তাড়া করবেন। ছাড় নয়।  এই ঘটনায় বিধায়ক সুরজিৎ দত্তর গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় বাংলা থেকে যাওয়া তৃণমূল বিধায়কদের হোটেলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।


সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে আগরতলা-সহ ১৪টি পুরসভা ও ৬টি নগর পঞ্চায়েতের ভোট রয়েছে ত্রিপুরায়। ভোটের আগেই এক তৃতীয়াংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিধায়কের ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যের রাজনীতিতে। অভিযুক্ত বিধায়ককে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে তৃণমূল।তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব  বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সামনে বক্তৃতাতে বলছেন তৃণমূল কর্মীদের মার।  এটা প্রমাণ হয়ে যাবে সুপ্রিম কোর্টে, ত্রিপুরা পুলিশ কিছু করছে না। সুরজিৎ দত্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।অন্যদিকে, সিপিএম বলেছে,হুমকি দেওয়া বিজেপির সংস্কৃতি।যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ গেরুয়া শিবির।


পুরভোটের প্রচারে বাংলা থেকে বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক, নেতা কয়েকদিন ধরে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন ত্রিপুরায়। তাঁদের মধ্যে দুই তৃণমূল বিধায়ক যে হোটেলে রয়েছেন, সেই হোটেল মালিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।পাশাপাশি রবিবার যোগেন্দ্রনগরে তৃণমূলের মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।