নয়া দিল্লি : ত্রিপুরার হামলা নিয়ে এবার দিল্লিতে বসে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হল সিপিএম। রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চেয়েও না পাওয়ার অভিযোগে সুর চড়ালেন সীতারাম ইয়েচুরি, মানিক সরকাররা। অন্যদিকে, ২২ তারিখ ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রার জন্য ফের পুলিশের কাছে অনুমতি চাইল তৃণমূল।


ত্রিপুরা নিয়ে শাসক বিজেপির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে সিপিএম-তৃণমূল--- দু’দলই। একদিকে দিল্লিতে বসে, ত্রিপুরা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করল সিপিএম। অন্যদিকে, ত্রিপুরায় অভিষেকের পদযাত্রার জন্য নতুন করে অনুমতি চেয়ে চাপ বাড়াল তৃণমূল। 


গত সপ্তাহে ত্রিপুরায় একের পর এক সিপিএম দফতর এবং সিপিএম নেতাদের বাড়িতে হামলা হয়। ভাঙচুর থেকে আগুন...কিছুই বাদ যায়নি। আর, ত্রিপুরার এই পরিস্থিতির বিষয়েই জানাতে রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চেয়েছিলেন সিপিএম নেতারা। কিন্তু, সাক্ষাতের সময় মেলেনি বলে অভিযোগ তুলে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। এপ্রসঙ্গে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, সিপিএম ও দলের নেতাদের ওপর হামলার কথা লিখে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ওঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু, অ্যাপয়েনমেন্ট পাননি। ওঁদের অনুরোধ গত তিনদিন ধরে ঝুলে রয়েছে।


অন্যদিকে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সুর চড়িয়ে বলেন, ত্রিপুরায় ভারতের সংবিধান কাজ করে না। সেখানে শাসক বিজেপির দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন বিরোধীরা। সিপিএমের ১৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। কিন্তু, আমাদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাকে ১৫ বার বাধা দেওয়া হয়েছে। তিন বিধায়ককে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে। 


এদিকে, ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রার অনুমতি না মেলা নিয়েও বিতর্ক তুঙ্গে। প্রথমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ত্রিপুরায় পদযাত্রা করবেন বলে ঘোষণা করে তৃণমূল। কিন্তু, সেদিনের কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার একই রুটে পদযাত্রা হবে বলে জানায় তৃণমূল। বিশ্বকর্মা পুজোর কারণ দেখিয়ে, তাতেও না করে দেয় বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার পুলিশ। এবার ২২ তারিখ সেই রুটেই পদযাত্রার অনুমতি চেয়ে ত্রিপুরা পুলিশকে ফের চিঠি দিয়েছে তৃণমূল।