অর্ণব মুখোপাধ্যায়, আগরতলা: ফের অনুমতি জটে আটকে আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা। এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরা পুলিশের অনুমতি পায়নি তৃণমূল।
১৫ সেপ্টেম্বর মেলেনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রার অনুমতি। ১৬ সেপ্টেম্বর তারই পুনরাবৃত্তি। এবার নজর ২২ সেপ্টেম্বরে।
বুধবার, আগরতলায় একই রুটে পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু, এবারও অনুমতি নিয়ে তৈরি হয়েছে জট। কর্মসূচির ৭২ ঘণ্টা আগেও, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রার অনুমতি পায়নি তৃণমূল।
প্রথম দু’বার ধাক্কা খাওয়ার পর, এবার যে কোনওভাবেই পিছু হটবে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ২২ তারিখের কর্মসূচির এখনও অনুমতি পাইনি। এডিজির সঙ্গে দেখা করেছি। ২২ তারিখ কোভিড মেনে করব।
ত্রিপুরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে, তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। যিনি বিপ্লব দেবের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত। বলেন, আমার মনে হয় দেওয়া উচিত, নিশ্চয়ই দেবে, গণতন্ত্রে সবার সমান অধিকার আছে, আমার বিশ্বাস পুলিশ দেবে।
গতকালই, কুণাল ঘোষকে নোটিস পাঠিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশ। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে নোটিস পাঠায় খোয়াই থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, ১০ দিনের মধ্যে তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় দলের ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে গত ৮ অগাস্ট, খোয়াই থানায় ধর্না দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, কুণাল ঘোষরা।
থানায় বসেই কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রেফতারির প্রসঙ্গ তুলে পুলিশের সঙ্গে তরজায় জড়ান কুণাল ঘোষ, দোলা সেনরাও।
সূত্রের খবর, সেদিনের ঘটনার প্রেক্ষিতেই কুণাল ঘোষকে নোটিস পাঠাল খোয়াই থানা। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে তরজা।
কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, দু’-চারদিনের মধ্যেই থানায় যাবেন। বলেন, আইওকে অনুরোধ করব জিজ্ঞসাবাদ পুরোদস্তুর ভিডিও রেকর্ডিং করতে হবে।
পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। কুণাল বলেন, ত্রিপুরা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ চার্জশিট দিতে পারবে না, হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: ২২ সেপ্টেম্বর অভিষেকের মিছিলের অনুমতি চেয়ে আগরতলা পুলিশকে ফের চিঠি তৃণমূলের