নয়াদিল্লি: ৭-১১ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে কোভোভ্যাক্সের (COVOVAX) আপৎকালীন ব্যবহারে ছাড়পত্র দিল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই (DCGI)। গত ২৮ ডিসেম্বর প্রাপ্তবয়স্কের উপর কোভোভ্যাক্সের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছিল। তার পর, ৯ মার্চ ১২-১৭ বছরের জন্যও করোনার এই প্রতিষেধক ব্যবহারে অনুমতি দেয় ডিসিজিআই।


সঙ্গে আরও ঘোষণা:


পাশাপাশি আঠারো-ঊর্ধ্বদের ক্ষেত্রে ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ প্রতিষেধকের আপৎকালীন ব্যবহারেও  ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই। জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস তৈরি এই এমআরএনএ টিকা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
নোভাভ্যাক্সের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রোটিন-ভিত্তিক টিকা কোভোভ্যাক্স তৈরি করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। কোভিড-১৯ প্রতিষেধকের তালিকায় এটি তাদের দ্বিতীয় টিকা। আগে কোভিশিল্ডও তৈরি করেছে তারা। বিশ্বজুড়ে নানা জায়গায় তা পাঠিয়েছে ভারত। এর পাশাপাশি গত ডিসেম্বরে কোভোভ্যাক্সের আপৎকালীন ব্যবহারে ছাড় দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। এটির দুটি ডোজ নিতে হয়। এসআইআই-র গবেষণা অনুযায়ী, টিকাটির কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ। দাম ২২৫ টাকা। 


কী ভাবে কাজ করে ভাইরাস:


বাকি প্রতিষেধকের তুলনায় নতুন কৌশলে কাজ করে কোভোভ্যাক্স।  সার্স-কোভ-২ অর্থাৎ যে ভাইরাসের জেরে এত বড় অতিমারী তারই স্পাইক প্রোটিন থেকে নেওয়া জিন ব্যবহার করা হয় এই টিকায়। তবে জিনটির চরিত্র বদলে ব্যাকুলোভাইরাসের ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এখানেই এই প্রতিষেধকের জাদু। সার্স-কোভ-২-র স্পাইক প্রোটিন থাকায় টিকাটি অনায়াসেই মানবকোষে ঢুকে যেতে পারে। এবং  কোভোভ্যাক্স দেওয়ার পর মানবশরীর সার্স-কোভ-২-র ওই পরিবর্তিত স্পাইক প্রোটিনকে বাইরের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে লড়াই শুরু করে। তার পরই শরীরের অন্দরে স্বাভাবিক ভাবে প্রতিরোধক্ষমতা তৈরির লড়াই শুরু হয়। 


শিশুদের জন্য বেশ কয়েকটি কোভিড-টিকা আগেই ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই। ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন-কে ৬-১২ বছর বয়সি শিশুদের উপর ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছিল তারা। ৫-১২ বছর যাদের বয়স, তাদের জন্য করবিভ্যাক্স এবং ১২ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য জাইকোভ-ডি টিকাতেই সিলমোহর দেয় তারা। এবার সেই তালিকায় নাম কোভোভ্যাক্সের। 


 


আরও পড়ুন:রাজস্থানে ভয়ঙ্কর হত্যা, গোটা রাজ্যে বন্ধ ইন্টারনেট