নয়া দিল্লি : কংগ্রেস ছেড়ে দিন এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সে যোগ দিন। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহর উদ্দেশে এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রামদাস আঠওয়ালে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, পঞ্জাবে এনডিএ-কে ক্ষমতায় আনতে অমরিন্দর সিংহ ভাল কাজে আসতে পারেন। 


তিনি বলেন, আমি ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহকে প্রশ্ন করতে চাই, সেই দলে থেকে কী লাভ যেখানে তাঁকে অপমানিত হতে হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ, কংগ্রেস ছেড়ে দিয়ে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে যোগ দিন। এনডিএ-তে প্রত্যেককে সমানভাবে সম্মান দেওয়া হয়। পঞ্জাবে এনডিএ-কে ক্ষমতায় আনতে অমরিন্দর সিংহ ভাল কাজে আসতে পারেন।


পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেছেন অমরিন্দর সিংহ। শনিবার রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকের আগে তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি সামনে আসে। 


প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে আচমকাই সরে দাঁড়ান ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। গত পরশু রাত পর্যন্ত পঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাহুল গাঁধীর বাসভবনে বৈঠক হয়। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল ও অম্বিকা সোনিও বৈঠকে হাজির ছিলেন। বৈঠকে সিধু, জাখড়, সুখবিন্দর সিংহ রান্ধওয়া সহ বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা যায়। সুনীল জাখড় এগিয়ে থাকলেও তাঁর নামে বেশ কয়েকজন বিধায়কের আপত্তি রয়েছে বলে জানা যায়। এরই মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোতি সিংহ সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বিবেচনা করা হলে তার তীব্র বিরোধিতা করেছেন অমরিন্দর। তিনি সিধুকে অদক্ষ ও জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক আখ্যা দিতেও ইতস্তত করেননি। 


এদিকে দলের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব অম্বিকা সোনিও পঞ্জাবের। তাই কংগ্রেস নেতৃত্ব আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত অম্বিকা সোনিই মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব গ্রহণ করুন, এমনই চেয়েছিল। কিন্তু, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হতে অস্বীকার করেন অম্বিকা। এরপর ভেসে আসে  সুখজিন্দর সিংহ রাণধওয়ার নাম। কিন্তু সূত্রের খবর, তাঁর নামে আপত্তি জানান দলীয় কয়েকজন বিধায়ক এবং কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এর কিছু পরেই প্রকাশ্যে আসে পঞ্জাব কংগ্রেসের অন্যতম দলিত মুখ চরণজিৎ সিংহ চান্নির।