লখিমপুর খেরি: দিনে দুপুরে অপহরণ, তার পর গাছ থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri) দুই নাবালিকা বোনের রহস্য মৃত্যু ঘিরে সন্দেহ দানা বাঁধছিল গোড়া থেকেই। এ বার তাতে ময়নাতদন্তের সিলমোহর পড়ল। ১৭ এবং ১৫ বছর বয়সি দুই কন্যাকে ধর্ষণের পর খুন করেই গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেল। ছয় যুবক মিলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ (Dalit Girls)। তাদের মধ্যে একজনকে বৃহস্পতিবার সকালে পাকড়াও করা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
লখিমপুর খেরিতে ধর্ষণ করেই খুন দুই দলিত কন্যাকে
অভিযুক্ত ছয় যুবককে সুহেল, জুনেইদ, হাফিজুল রহমান, করিমউদ্দিন, আরিফ এবং ছোটু বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। ছোটু ওই দুই দলিত কিশোরীর পড়শি বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ছোটুই দুই কিশোরীকে বাকি পাঁচ জনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল স্বেচ্ছায় পাশের গ্রামের বাসিন্দা সুহেল এবং জুনেইদের মোটর সাইকেলে ওঠে দুই কিশোরী। যদিও পরিবারের দাবি তাদের মেয়েদের অপহরণ করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আখের ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে সুহেল এবং জুনেইদ। বাকিরা প্রমাণ লোপাটে সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ প্রধান সঞ্জীব সুমন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মেয়ে দু’টিকে ধর্ষণ করা হয় প্রথমে। তার পর খুন করা হয় শ্বাসরোধ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, সুহেল এবং জুনেইদ মেয়ে দু’টিকে ধর্ষণ করে। বিয়ে করতে হবে বলে যখন জেদ ধরে দুই কিশোরী, পরনের ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাদের। এর পর আরিফ, করিমউদ্দিনদের ডেকে দেহ দু’টি গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, যাতে মনে হয় দুই কিশোরী আত্মঘাতী হয়েছে।
বিনা অনুমতিতে ময়নাতদন্ত বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের
ওই দুই কিশোরীর মা যদিও বুধবার জানান যে, মোটর সাইকেলে চেপে এসে কয়েক জন তাঁর মেয়েদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। এর পর গোধূলির দিকে আখের ক্ষেতের কাছে একটি গাছে ঝুলতে দেখা যায় দু’জনের দেহ। এর পর তাঁদের অনুমতি ছাড়াই পুলিশ এসে দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় বলে দাবি ওই দুই কিশোরীর পরিবারের লোকজনের। তার জেরে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়ে পুলিশ।