নয়াদিল্লি : রেমাল ঘূর্ণিঝড়, টানা বৃষ্টি। তাতেও স্বস্তি ফেরেনি এ রাজ্যে। অস্বস্তিকর গরম বজায় রয়েছে। দেশের একটা বড় অংশই এখনও তীব্র দাবদাহের মুখে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা পৌঁছে গেছে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। হরিদ্বারে পারদের মাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব শুধুমাত্র মানুষের উপরই পড়েনি, বন্য জীবজন্তুদের উপরও পড়েছে। জঙ্গল এলাকার অনেক পুকুর শুকিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে রয়েছে। কার্যত দেশের একটা বড় অংশে এখনও তীব্র গরম বজায় রয়েছে। রাজাজি ন্যাশনাল পার্কের মোতিচূড় ও কাঁসরো রেঞ্জে জলের গর্ত পূরণ করা হচ্ছে।


রাজাজি ন্যাশনাল পার্কের মোতিচূড় রেঞ্জের আধিকারিক মহেশ সেমওয়াল বলছেন, "কিছু কিছু জায়গায় জলের নতুন ও স্থায়ী গর্ত তৈরি করা হয়েছে। যার জন্য বাইরে থেকে জল নিয়ে আসা হচ্ছে। পুরনো স্থায়ী গর্তগুলিতে ক্রমাগত জল ভরা হচ্ছে। যাতে পশু-পাখিরা জল পায়। কিছু কিছু এলাকায় যেখানে জলের উৎস রয়েছে, সেগুলি সারানো হচ্ছে। সেখানে জলের বড় গর্ত তৈরি করা হচ্ছে।"


ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে, মধ্যপ্রদেশের দামোয়া এলাকার রাস্তা খাঁ খাঁ করছে। রাস্তাঘাটে খুব অল্প সংখ্যক গাড়ি দেখা যাচ্ছে। গাড়ি দেখা গেলেও, দেখা মেলেনি পথচারীর। একটু ঠান্ডার জন্য জলে গা চুবিয়ে নিতে দেখা গেছে পাখিদের।


গরমের হাত থেকে বাঁচতে প্রয়াগরাজে আসা পর্যটক ও বাসিন্দাদের গঙ্গা স্নান করার হিড়িক পড়ে গেছে। গোপালজি দাস নামে এক পুরোহিত বলেন, 'প্রয়াগরাজে খুব গরম। দুপুরের দিকে তাপমাত্রা ৪৬-৪৭ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাচ্ছে। মানুষ এখানে স্নান করতে আসছেন। যাতে গরম থেকে একটু স্বস্তি মেলে। গঙ্গাজি হিমালয়ের কন্যা। তাই, এই নদীর জল শরীরকে ঠান্ডা করে দিতে পারে। এতে ভাল ঘুম হয়। ভাল খাবার খান। শরীর থেকে ক্লান্তি দূর করুন। গঙ্গা নদীতে স্নান করলে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।'


তপস্যা নামে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, 'গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই আমরা সকাল সকাল স্নান করতে চলে এসেছি। আজও গরম থাকবে।' শ্যাম নামের এক পর্যটক বলেন, 'গতকাল তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই গরমে বিশ্রাম নেওয়া যাচ্ছে না। চিন্তা হচ্ছে। তাই, সকাল সকাল এখানে চলে আসি। দুই ঘণ্টা ধরে স্নান করেছি। গঙ্গায় স্নান করলে সারা দিন স্বস্তিতে থাকা যায়।'


এদিকে IMD বলছে, দাবদাহ থেকে স্বস্তি ৩০ মে-র পর থেকে মিলতে পারে। তাদের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে নতুন করে পঞ্চিমী ঝঞ্ঝা দেখা যেতে পারে। যারে জেরে সপ্তাহান্তেই বৃষ্টিপাত হতে পারে এই এলাকায়।