WB Corona LIVE Updates: করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৫৯ জনের মৃত্যু
সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। প্রত্যেকদিনই উত্তরোত্তর বাড়ছে কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। সারা দেশেই অক্সিজেন যোগানের সংকট দেখা দিয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২,৮৭৬ জন।
ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে করোনা। গোটা দেশের মতো বাংলাতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ২৮৩০ জন।
বাংলায় ক্ষমতায় এলে রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন। ‘ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেককে দেওয়া হবে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন’, ট্যুইট করে জানাল বিজেপি ।
করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ বন্ধ, জানাল বাঁকুড়া পুরসভা। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় প্রথম ডোজ বন্ধের সিদ্ধান্ত, খবর সূত্রের। ‘যাঁরা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাঁরা দ্বিতীয় ডোজ পাবেন’, নোটিস দিয়ে জানাল বাঁকুড়া পুরসভা।
করোনায় মৃদু আক্রান্তকে দেওয়া যাবে 'ভিরাফিন', ডিসিজিআই-এর ছাড়পত্র পেল জাইডাস।
কলকাতায় ফের বাড়িতে পড়ে থেকে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ।২ দিনের চেষ্টাতেও সরকারি হাসপাতালে বেড না পাওয়ার অভিযোগ।স্বাস্থ্যভবনের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেও সুরাহা না মেলার অভিযোগ। ‘বিনা চিকিৎসায়’ তিলজলার ফ্ল্যাটে বৃদ্ধার মৃত্যু।মৃত্যুর পর দেহ সৎকারেও দুর্ভোগ পোহাতে হল পরিবারকে।১০ ঘণ্টা বাড়িতে পড়ে রইল মৃতদেহ।পুরসভায় বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।অবশেষে ১০ ঘণ্টা পর সৎকারের ব্যবস্থা করল পুরসভা
আনন্দপুরে সেফ হোমে তালা ঝোলার অভিযোগ।গত বছর আক্রান্তদের পরিবারের লোকজন এখানে থাকতেন। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর কলকাতা পুরসভা এখানে সেফ হোম ফের চালু করবে বলে জানায়। কিন্তু এখনও কোনও বন্দোবস্ত হয়নি।
সোনারপুরে মর্মান্তিক ছবি! ১৪ ঘণ্টা পার, করোনায় মৃতের দেহ পড়ে বাড়িতে। গতকাল রাত ১ টা নাগাদ ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাঁর ছেলের অভিযোগ, সরকারের বিভিন্ন বিভাগে ফোন করে কোনও সাহায্য মেলেনি। ১৭ এপ্রিল আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর ছেলের অভিযোগ, তাঁর বাবা করোনা আক্রান্ত হওযার পরও একাধিক হাসপাতালে চেষ্টা করেও মেলেনি বেড। চেষ্টা করেও মেলেনি অক্সিজেন
ফের বিনা চিকিৎসায় করোনা রোগী মৃত্যুর অভিযোগ।বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ মধ্যমগ্রামের ৬৫ বছরের বৃদ্ধার। ‘প্রবল শ্বাসকষ্ট সত্ত্বেও অক্সিজেন দেয়নি কলকাতা মেডিক্যাল’, অভিযোগ পরিবারের।
চিকিৎসা না করেই এনআরএসে রেফারের অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এনআরএসে নিয়ে গেলে বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর পরে বৃদ্ধার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।বৃদ্ধার ছেলেও করোনা আক্রান্ত হয়ে এনআরএসে ভর্তি। অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে দেখব, প্রতিক্রিয়া মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষর
ব্যাঙ্কগুলিতে পরিষেবার সময়সীমা কমানোর আর্জি।মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের। ব্যাঙ্কে পরিষেবার সময়সীমা কমিয়ে দুপুর ২টো পর্যন্ত করার দাবি।একইসঙ্গে প্রতি শনিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।
করোনা আবহে ফের বন্ধ হচ্ছে বাগবাজারের মায়ের বাড়ির দরজা।সোমবার থেকে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ বাগবাজারের মায়ের বাড়ি।সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বাগবাজার মায়ের বাড়ির দরজা।২০২০-র করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে খোলা হয়েছিল।অতিমারীর দাপটে ফের মন্দিরে ভক্তদের দর্শন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের
নদিয়ার কৃষ্ণনগরের শক্তিনগরে ফের দীর্ঘক্ষণ পড়ে রইল আরও এক করোনা রোগীর মৃতদেহ। পরিবার সূত্রে খবর, কাল রাত দুটো নাগাদ কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের বিপরীতে ওষুধের দোকানের মালিকের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। অভিযোগ, স্থানীয় পুরসভাকে খবর দেওয়া হলেও প্রশাসনের তরফে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি । করোনার সরকারি হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করেও মেলেনি সহযোগিতা। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তি কোভিড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজও নিয়েছিলেন। অভিযোগ, কাল রাতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়লেও কৃষ্ণনগর পুর-হাসপাতাল বন্ধ থাকায় ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করা সম্ভব হয়নি।
করোনা মোকাবিলায় জেলাশাসকদের একাধিক নির্দেশ স্বরাষ্ট্রসচিবের। করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে জরুরি বৈঠকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যা বাড়াতে হবে। অক্সিজেনের জোগান ঠিক থাকছে কিনা নজর দিতে হবে।“ জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রসচিব।
‘রাজ্যে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেন দরকার। আপাতত রাজ্য থেকে অন্যত্র অক্সিজেন পাঠানো বন্ধ হোক’। কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে আবেদন রাজ্যের। কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে বাড়তি অক্সিজেনের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই আবেদন জানানো হয়েছে।
গড়ফার পর এবার নদিয়ার কৃষ্ণনগর।করোনায় মৃতের দেহ ২৪ ঘণ্টা ধরে বাড়িতেই পড়ে!মৃত সত্তরোর্ধ্ব ব্যক্তির ছেলে বিদেশে থাকেন।স্ত্রী-মেয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি। আজ রাতে দেহ উদ্ধার করে সত্কার হতে পারে, প্রশাসন সূত্রে খবর।
করোনা আবহে এবার কমল মেট্রোর সংখ্যা।সোমবার থেকে শুক্রবার ২৫৮-র পরিবর্তে চলবে ২৩৮টি মেট্রো।শনিবার মেট্রোর সংখ্যা কমে দাঁড়াল ২১৮।রবিবার মাত্র ১০০টি মেট্রো চলবে কলকাতায়।
মমতা বলেছেন, কোভিড যাদের হয়েছে আতঙ্কিত হবেন না। যার বেশি বাড়াবাড়ি সে হাসপাতালে ভর্তি হোন। আগেরবার সামলে দিয়েছি, এবারও সামলে দেব। সংখ্যাটা নিয়ে ভাববেন না, সবার যে সিরিয়াস তা নয়, কাউন্সেলিংয়ের সুযোগ দেবেন। তিনি বলেছেন, ভোট নয়, করোনা পরিস্থিতিই তাঁর অগ্রাধিকার।
দেশের যে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিডের দাপট সবচেয়ে বেশি, সেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে গরহাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পক্ষে বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিব।মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটক, গুজরাত, রাজস্থান, দিল্লি, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরা অংশ নিয়েছিলেন বৈঠকে।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় আজ শুনলাম প্রধানমন্ত্রী মিটিং করছেন, আমি আমন্ত্রিত থাকলে যেতাম।
দেশের যে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিডের দাপট সবচেয়ে বেশি, সেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে গরহাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পক্ষে বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিব।মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটক, গুজরাত, রাজস্থান, দিল্লি, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরা অংশ নিয়েছিলেন বৈঠকে।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় আজ শুনলাম প্রধানমন্ত্রী মিটিং করছেন, আমি আমন্ত্রিত থাকলে যেতাম।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। প্রত্যেকদিনই উত্তরোত্তর বাড়ছে কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। সারা দেশেই অক্সিজেন যোগানের সংকট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ টাস্ক ফোর্স রাজ্যের। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের টাস্ক ফোর্স। আজই জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। অক্সিজেনের জোগান এবং কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে গত একদিনে করোনা সংক্রমিত প্রায় ১২ হাজার ছুঁই ছুঁই। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৯৪৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতাতেই ৫ হাজারের বেশি সংক্রমিত। রাজ্যে ভোটের মধ্যেই রাজ্যে আরও বেলাগাম করোনা। ৫৬ জনের মৃত্যু হল একদিনে। রাজ্যে সংক্রমণের তুলনায় কমল সুস্থতার হারও। সুস্থতার হার আরও কমে ৮৯ শতাংশ। শুধু কলকাতাতেই একদিনে সংক্রমিত ২৬৪৬। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিত ২৩৭২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, দঃ ২৪ পরগনাতেও লাগামছাড়া সংক্রমণ।
বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের পরিংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৭৮৪ । গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যো মোট করোনায় মৃত্যু ৫৮। গতকাল স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ ছিল ২ হাজার ৫৬৮, উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক সংক্রমণ ছিল ২ হাজার ১৪৯ ।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড সংখ্যক ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৩০ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর ৷ মৃত্যু হয়েছে ২,২৬৩ জনের ৷ পাশাপাশি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১,৯৩,২৭৯ জন ৷ এখনও পর্যন্ত দেশে ১৩,৫৪,৭৮,৪২০ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৷
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -