নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি (president) হওয়া মোটেও তাঁর 'একক বা ব্যক্তিগত সাফল্য' (personal achievemet) নয়। এটি ভারতের প্রত্যেক দরিদ্র (poor) নাগরিকের 'সাফল্য'। দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি পদে শপথগ্রহণের (oath) পর প্রথম বক্তৃতায় বার্তা দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu)।
পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথপাঠ
এদিন সকাল সওয়া দশটা নাগাদ সংসদের সেন্ট্রাল হলে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা। দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু মনে করান, সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদের জন্য তাঁর মনোনয়ন এটাই প্রমাণ করে যে দরিদ্র ভারতীয়রদের শুধু স্বপ্ন দেখার অধিকার নেই। তা পূরণেরও সুযোগ রয়েছে। তাঁর কথায়,'দলিত, অনগ্রসর, আদিবাসী যাঁরা বছরের পর বছর উন্নয়নের মুখ দেখতেন না তাঁরা আমার মধ্যে অন্তত নিজেদের প্রতিফলন দেখতে পাবেন এটা ভেবে ভাল লাগছে। গরিবের আশীর্বাদ রয়েছে আমার মনোনয়নে। কোটি কোটি মহিলার স্বপ্ন ও দক্ষতার প্রতিফলনও ধরা পড়েছে এতে।'
উঠে এল স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অবদান প্রসঙ্গ...
দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে প্রথম আদিবাসী মহিলা হিসেবে শপথপাঠের পর বক্তৃতায় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসও ছুঁয়ে গিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সাঁওতাল, পাইকা, কোল, ভিল-র মতো আদিবাসী সম্প্রদায়ের অবদানও উল্লেক করেছেন। বলেছেন, বীরসা মুন্ডার কথাও। তাঁর ভাষায়,'দেশাত্মবোধ ও সামাজিক উন্নতির জন্য ধরতি আবা ভগবান বীরসা মুন্ডাজির আত্মত্যাগ আমাদের উদ্বুদ্ধ করে।' সঙ্গে সংযোজন,'আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা স্বাধীন ভারতের নাগরিকদের কাছ থেকে যে প্রত্যাশা রেখে গিয়েছিলেন, তার কাছাকাছি পৌঁছতে আরও দ্রুত এগোতে হবে।'এবং এ জন্য যে সমস্ত ভাষা, ধর্ম, খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মনীতির ফারাককে টেনে নিয়েই ' এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত '-র লক্ষ্যে পৌঁছনো জরুরি, সেই বার্তাও দিয়েছেন নতুন রাষ্ট্রপতি।
উল্লেখ্য, বিরোধী শিবিরের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। স্বাধীন ভারতে জন্মানো প্রথম রাষ্ট্রপতি তিনি। বয়সের নিরিখেও পূর্বসুরিদের তুলনায় সর্বকনিষ্ঠ।
আরও পড়ুন:সিন্থেসাইজারে সাবলীল আঙুল, আইএসসি-তে ৯৯.৫% নম্বর পেয়ে তাক লাগালেন নদিয়ার শুভদীপ