হায়দরাবাদ: আর জি কর কাণ্ডে এখনও বিচার মেলেনি। সেই নিয়ে প্রতিবাদ, আন্দোলনের মধ্যেও একের পর এক নারকীয় ঘটনা ঘটে চলেছে। এবার তাতে নয়া সংযোজন হায়দরাবাদে অটো চালকের হাতে তরুণীর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনা। অটোর চালক ওই তরুণীকে যৌন নিগ্রহ এবং ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। (Hyderabad News)


মঙ্গলবার হায়দরাবাদ থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। গচিবোলি থানায় সেই নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তরুণী জানিয়েছেন, মসজিদ বান্দা এলাকায় একটি নির্জন স্থানে তাঁকে ধর্ষণ করেন অটোর চালক। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। (Woman Physically Assaulted)


২৯ বছর বয়সি ওই নির্যাতিতা একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। চেন্নাই থেকে রাত সওয়া ২টো নাগাদ লিঙ্গমপল্লি স্টেশনে নামেন। সেখান থেকে অটো রিকশায় চড়ে নানক্রমগুড়ায় বাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছিলেন। ওই অটোর চালকই তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে দাবি করেছেন তিনি।


পুলিশকে ওই তরুণী জানান, অভিযুক্ত তাঁর শ্বাসরোধেরও চেষ্টা করেন। প্রাণে বাঁচতে তিনি চিৎকার করে ওঠেন। তাঁর হাতের ব্যাগটিও অভিযুক্ত ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ব্যাগের মধ্যে নগদ টাকা, পরিচয় পত্র ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। 


নির্যাতিতা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পালিয়ে যাওয়ার পর একজনের সাহায্যে ১০০-য় ফোন করেন তিনি। অটোয় কোনও নম্বর প্লেট বসানো ছিল না। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাতে গঠন করা হয়েছে পৃথক টিম-ও। 


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা পেশায় ইন্টিরিয়র ডেকরেটর। আমিরপেতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। এই নিয়ে হায়দরাবাদে দ্বিতীয় বার কোনও কর্মরত মহিলা নির্যাতনের শিকার হলেন। এর আগে, জুলাই মাসে, দুই সেলস এগজিকিউটিভকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৬ বছর বয়সি সহকর্মী, এক তরুণীকে চলন্ত গাড়িতে মাদক খাইয়ে তারা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ছিল। 


সেবারও ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। জানা যায়, একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার কর্মী তারা। সহকর্মী তরুণীকে গাড়িতে তুলে অত্যাচার চালায়। ৩০ জুন তারা ওই অপরাধ ঘটায় বলে জানায় পুলিশ। ওই তরুণী থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। চার দিন পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


প্রথমে এই ঘটনায় জিরো এফআইআর দায়ের হয়। পরে মামলাটি অন্য থানায় স্থানান্তরিত করা হয়। দুই অভিযুক্তের বিচার বিভাগীয় হেফাজত হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতে ফের এক ঘটনা ঘটল।