রায়বরেলি (উত্তরপ্রদেশ) : বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। আজ এই অভিযোগ তুলে সরব হলেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রা। তিনি বলেন, সরকারের কাজ কী ? সরকারের কাজ উন্নয়ন করা, মানুষের সমস্যার সমাধান এবং অত্যাচার বন্ধ করা। তার পরিবর্তে এই সরকার বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতছে।


অমেঠীতে রাহুল গাঁধীর হিন্দুত্ববাদী মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রিয়ঙ্কা বলেন, হিন্দু ধর্ম সততা শেখায় এবং সকলকে ভালবাসতে শেখায়। কিন্তু, আরএসএস ও বিজেপি ধর্মের নামে রাজনীতি করে। ওরা সততার পথে নেই। কারণ, ওরা রোজ মিথ্যা কথা বলে। রাহুলজি চেষ্টা করেছেন, সত্যিকারের ধর্মের সঙ্গে পার্থক্য বোঝাতে।


আরও পড়ুন ; সাত বছরে কী করেছে বিজেপি, উত্তরপ্রদেশে প্রিয়ঙ্কা


এর আগে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গত রবিবার রাজস্থানের জয়পুরে বিরাট সমাবেশে বক্তৃতা করেছিলেন রাহুল। সেখানেই নাম না করে সঙ্ঘ (RSS) এবং বিজেপি-কে (BJP) একহাত নেন তিনি । বলেন, ‘‘আমি হিন্দু। হিন্দুত্ববাদী নই। ওরা হিন্দুত্ববাদী। হিন্দু এবং হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে পার্থক্য একটাই, প্রকৃত হিন্দু সত্য অনুসন্ধান করেন, যাকে বলে সত্যাগ্রহ। কিন্তু এক জন হিন্দুত্ববাদী শুধুমাত্র ক্ষমতাদখলে আগ্রহী, যাকে বলে ‘সত্তাগ্রহ’।’’


হিন্দু এবং হিন্দুত্ববাদীর মধ্যে ফারাক বোঝাতে গিয়ে মহাত্মা গাঁধী (Mahatma Gandhi) এবং তাঁর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের (nathuram Godse) উদাহরণও টেনে আনেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘‘মহাত্মা গাঁধী সত্য অনুসন্ধানে নেমেছিলেন। তাঁর বুকে তিনটি গুলি দেগে দেয় নাথুরাম গডসে। নাথুরাম হিন্দুত্ববাদী ছিলেন। সত্য নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই এদের। হিন্দুত্ববাদীরা শুধু ক্ষমতা চায়।’’


আরও বলেন, ‘‘প্রকৃত হিন্দু কে ? যিনি সব ধর্মকে সম্মান করেন এবং কাউকে ভয় পান না। এখন যারা ক্ষমতায় রয়েছে, তারা ভুয়ো হিন্দু। বর্তমানে ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের শাসন চলছে, হিন্দু শাসন নয়। এই হিন্দুত্ববাদী শাসন সরিয়ে, হিন্দু শাসন ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য আমাদের।’’