নয়াদিল্লি: চিন সীমান্ত বরাবর পূর্ব লাদাখ ও অন্য এলাকায় নজরদারির ক্ষমতা বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তারই অঙ্গ হিসাবে ইজরায়েল, আমেরিকা থেকে অত্যাধুনিক ড্রোন আনছে ভারত। চিনের গতিবিধির উপর নজরদারি বাড়াতে ইজরায়েল থেকে হেরন এবং আমেরিকা থেকে অত্য়াধুনিক মিনি ড্রোন আসছে।


সরকারি সূত্রে খবর, হেরন সার্ভিলেন্স ড্রোন পাওয়ার চুক্তি শেষ পর্যায়ে। ডিসেম্বরের মধ্য়ে তা স্বাক্ষরিত হতে পারে। লাদাখ সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে এই ড্রোন মোতায়েন করা হচ্ছে। বর্তমানে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ভান্ডারে যে ড্রোন আছে, তার থেকে এই ড্রোন আরও অত্য়াধুনিক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার প্রতিরক্ষা বাহিনীকে যে জরুরি আর্থিক ক্ষমতা দিয়েছে, তার আওতায় এই ড্রোনগুলি আসছে। এই ক্ষমতাবলে চিনের সঙ্গে চলতি সীমান্ত সংঘাতের আবহে নিজেদের যুদ্ধে  লড়ার ক্ষমতা বাড়াতে ৫০০ কোটি টাকা অর্থমূল্য়ের সামরিক সরঞ্জাম ও সিস্টেম কিনতে পারে সশস্ত্র বাহিনী।


অন্যদিকে, সূত্রের খবর, বেশ কিছু  মিনি  ড্রোন আনা হচ্ছে আমেরিকা থেকে। এগুলি হাতে চালানো যাবে, ব্য়াটালিয়ান স্তরে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সরবরাহ করা হবে যাতে তারা দায়িত্বভার পাওয়া কোনও বিশেষ এলাকা সম্পর্কে সচেতন হতে পারে।


চিনের সঙ্গে চলতি সংঘাতের পরিস্থিতিতে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী এইসব সিস্টেম সংগ্রহের উদ্য়োগ নিচ্ছে, যা তাদের সাহায্য করবে। প্রতিরক্ষা বাহিনীকে শেষবার এই সুবিধা দেওযা হয়েছিল ২০১৯ সালে, সন্ত্রাসবাদী শিবির ধ্বংসে ভারতীয় বায়ুসেনার পাকিস্তানের বালাকোটে অভিযানের পরই।


অন্যদিকে, ভারতীয় নৌসেনা দুটো প্রিডেটর ড্রোন আমেরিকান ফার্ম জেনারেল অ্য়াটমিক থেকে লিজ নিচ্ছে। একই সুবিধা কাজে লাগিয়ে নৌবাহিনী আমেরিকান ফার্ম জেনারেল অ্যাটমিকস থেকে নেওয়া দুটি প্রিডেটর ড্রোন লিজও দিয়েছে।  ভারতীয় বায়ুসেনাও প্রচুর সংখ্যায় হ্য়ামার এয়ার টু গ্রাউন্ড স্ট্যান্ডঅফ ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহেও একই ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। প্রায় ৭০ কিমি পর্যন্ত টার্গেটে আঘাত হানার শক্তি আছে এই মিসাইলের।