নয়া দিল্লি: তোপ পাল্টা তোপ, অবস্থান পাল্টা অবস্থান। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে সংঘাতের ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের নিজ দেশে ফিরে আসার কথা জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। এবার ভারতীয় পড়ুয়াদেরও দ্রুত ইউক্রেন ছেড়ে চলে আসার নির্দেশ দেওয়া হল।


দূতাবাসের তরফে জানান হয়েছে যে কবে থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হবে সেই আশায় বসে না থেকে অবিলম্বে দেশে ফিরুক পড়ুয়ারা। একটি বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, “ইউক্রেনের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অনলাইন ক্লাস কবে শুরু হবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত করা অবধি অপেক্ষা না করার পরামর্শ দিচ্ছে পড়ুয়াদের। এই বিষয়ে আগেই জানানো হয়েছে, দূতাবাস ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা প্রক্রিয়াকে সুগম করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিযুক্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণের অপেক্ষা না করে সাময়িকভাবে ইউক্রেন ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” 


সমস্ত ভারতীয় ছাত্রদের, অস্থায়ীভাবে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে। এই পরিস্থিতিতে   যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ছাড়তে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। তাঁদের বলা হয়েছে, দেশে ফেরার তোড়জোড় শুরু করার।  কিভের ভারতীয় দূতাবাস আগেই দেশ ছাড়ার পরামর্শ দেয়। 






মঙ্গলবারই সেখান থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে উড়েছে এয়ার  ইন্ডয়ার বিশেষ বিমান। আরও দুটি বিমান রওনা দেওয়ার কথা ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি। এই বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করতে বিদেশ মন্ত্রক ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খুলেছে। এই ফ্লাইটে জায়গা পেতে বুক করা যায় বুকিং এয়ার ইন্ডিয়ার বুকিং অফিস, ওয়েবসাইট, কল সেন্টার এবং অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে ।


ইউক্রেন সঙ্কট আরও ঘোরাল হল। ইউক্রেনের পূর্বপ্রান্তে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ঢুকতে শুরু করল রাশিয়ার সেনা। সোমবারই রুশপন্থী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত দোনেত্‍স্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রিতে সই করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাডিমির পুতিন। তারপরই ইউক্রেনের পূর্বপ্রান্তে সেনা পাঠানো শুরু হয়।  যদিও মস্কোর দাবি, শান্তিরক্ষার জন্য রাশিয়ার সেনা ওই এলাকায় যাচ্ছে।  এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকে বসেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। ভারতের তরফে নিরাপত্তা পরিষদে কূটনৈতিক আলোচনার পথেই সমাধানের রাস্তা খোঁজার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।  যদিও রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে কার্যত ইউক্রেন আক্রমণের প্রথম ধাপ হিসেবে দেখছে আমেরিকা ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন।