নয়াদিল্লি: ব্যাহত ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা। একের পর এক বিমান বাতিল। এদিকে চড়া দামে টিকিট কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস বিমান যাত্রীদের। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন রাহুল গান্ধী। এক্সপোস্টে তিনি এই পরিষেবা বিপর্যয়ের জন্য , কেন্দ্রের একচেটিয়া মডেলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। যার জেরেই এই 'মূল্যবৃদ্ধির প্রতিযোগীতা' শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ সোনিয়া পুত্রের। কংগ্রেস নেতার কথা,' যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।'

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড, তাহলে কি বিধায়ক পদ ছাড়ছেন হুমায়ুন ? দিলেন তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা

বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র , ব্য়াহত ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা। একের পর এক বাতিল বিমান। ঘুরপথে বা দেরিতে চলছে অসংখ্য় ফ্লাইট । যার জেরে এদিনও দিনভর চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। দুর্ভোগে পড়া বিমানযাত্রী বলেন,এখান থেকে আমাদের প্রচুর হয়রান করা হল। ২ বার আমাদেরকে ভুয়ো বোর্ডিং পাস দেওয়া হল। এক্স পোস্টে রাহুল লেখেন, 'সরকারের (কেন্দ্রীয় সরকার) একচেটিয়ে ব্যবস্থার জন্যই, ইন্ডিগোর পরিষেবা সমস্যার সৃষ্টি করেছে। বিমান বাতিল, উড়ান দেরিতে ছাড়ার জন্য দেশের মানুষকে মূল্য দিতে হচ্ছে।'

Continues below advertisement

দুর্ভোগে পড়া বিমানযাত্রী বলেন, এইভাবে মানুষকে কেন ঠকাচ্ছে ওরা? ওরা একটা ভুলভাল বোর্ডিং পাস দিয়ে দিচ্ছে। তারপর ৫ ঘণ্টা পরে বলছে বাতিল হয়ে গেছে! দুর্ভোগ-চাপে শেষমেশ নির্দেশিকা প্রত্যাহার করল DGCA.বুধবার থেকেই দেশজুড়ে বিপর্যস্ত ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা। শুক্রবার যা চরমে ওঠে। বিমানবন্দরে বাড়তে থাকে যাত্রীদের ভিড়।জমতে থাকে লাগেজের পাহাড়! শীতের মধ্যে বিমানবন্দরের বাইরে রাস্তায় রাত কাটাতে বাধ্য হন অসুস্থ, অসহায় যাত্রীরা। 

এই উড়ান সংস্থা সূত্রে খবর, এই বিভ্রাটের জন্য অনেকাংশে দায়ী নতুন Flight Duty Time Limitations. এই অনুযায়ী, একজন বিমানকর্মীর দিনে ৮ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৩৫ ঘণ্টা, মাসে ১২৫ ঘণ্টা এবং বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ঘণ্টা কাজ করার কথা। বিমানে দায়িত্ব পালনের পর কর্মীদের বিশ্রামের জন্য বাধ্যতামূলক সময়ও নির্ধারণ করা হয়েছে। ইন্ডিগো সূত্রে খবর, এই নিয়ম চালু হওয়ার পর থেকেই সংস্থার কর্মীসংখ্যায় টান পড়ছে। সে কারণেই, পাইলট এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক কেবিন ক্রু না থাকায় অনেক উড়ান বাতিল করতে হচ্ছে। ইন্ডিগোর তরফে যে নতুন Flight Duty Time Limitations-এর কথা বলা হচ্ছে, তা চালু হওয়ার কথা ছিল ২০২৪-এ। একাধিক বিমান সংস্থার অনুরোধে সেটি কার্যকর হয় এবছর পয়লা নভেম্বর থেকে।কিন্তু, তারপর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে নানা প্রশ্ন উঠছে।