ইনদৌর: ভরদুপুরে সকলের চোখের সামনে অভিনব পন্থায় ব্যাঙ্ক-ডাকাতি। কর্মীরা কিছু টের পাওয়ার আগে মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই ক্যাশিয়ারের টেবিল থেকে গায়েব ১০ লক্ষ টাকা! আরও বিস্ময়ের চোর একজন মাত্র ১০ বছরের খুদে! মধ্যপ্রদেশের ইনদৌরে ঘটে যাওয়া অবিশ্বাস্য এই চুরির ঘটনায় সকলেই তাজ্জব।


খবরে প্রকাশ, নিমুচ জেলার জাওয়াদ এলাকায় ওই সমবায় ব্যাঙ্কের ওই ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সিসিটিভি-তে দেখা গিয়েছে, ১০ বছরের এক কিশোর নির্দ্বিধায় ব্যাঙ্কে ঢুকল এবং ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে বেরিয়ে গেল। কিন্তু, উপস্থিত ব্যাঙ্ককর্মীরা কেউ টেরই পেলেন না! কেউ দেখতেই পেলেন না, যে ছোকরা ক্যাশিয়ারের ডেস্ক থেকে ১০ লক্ষ টাকা চুরি করছে!


সিসিটিভি ফুটেজ থেকে প্রাপ্ত ছবি অনুযায়ী, সকাল ১১টা নাগাদ ব্যাঙ্কে প্রবেশ করে ওই খুদে চোর। সটান ক্য়াশিয়ারের কাছে চলে যায়। ব্যাঙ্কে সেই সময় অনেক গ্রাহক ছিলেন। কিন্তু, কেউ আন্দাজ করতে পারেননি যে, চোখের সামনে এভাবে এক কিশোর টাকা চুরি করছে। ছেলেটি ছোটখাটো চেহারার হওয়ায় ডেস্কের পিছনে সে যে রয়েছে, তা কেউ-ই টের পাননি। কারণ, ডেস্কের আড়ালে কার্যত অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল চোর!


ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ৫০০ টাকার দুটো প্লাস্টিক মোড়া বড় বাণ্ডিল ব্যাগে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, এক-একটা বাণ্ডিল ১০টি ছোট বাণ্ডিল দিয়ে তৈরি। অর্থাৎ, ধরা যাক, ৫০০ টাকার এক বাণ্ডিল (১০০ পিস নোট) মূল্য ৫০ হাজার। এরকম, ১০টি বাণ্ডিল একত্রিত করে একটি বড় বাণ্ডিল, মূল্য ৫ লক্ষ টাকা। এরকম দুটি বাণ্ডিল ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে হাপিস করে দেয় খুদে চোর।


চুরি করে ক্যাশিয়ারের কাউন্টার থেকে ছুটে ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে যায় চোর। তখন সকলের টনক নড়ে। অনেকে বুঝে যান, কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে। কিন্তু, ততক্ষণে চোর ধাঁ! নিরাপত্তারক্ষী তাকে তাড়া করলেও ধরতে পারেনি। তবে, সিসিটিভি পরীক্ষা করে পুলিশ জানতে পারে, খুদে চোর একলা ছিল না। এক বছর কুড়ির যুবক তাকে নির্দেশ দিচ্ছিল। ওই যুবক প্রায় আধ-ঘণ্টা ব্যাঙ্কের মধ্য়ে ছিল। পুলিশ নিশ্চিত চুরির সঠিক সময়ের অপক্ষা করছিল ওই যুবক ও কিশোর। ক্যাশিয়ার অন্য ঘরে যেতেই সে কিশোরকে ভেতরে আসতে বলে।