নয়াদিল্লি: পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদির স্ত্রী অ্যামি মোদির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ বা দুনিয়াব্যাপী গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল ইন্টারপোল। অ্যামির বিরুদ্ধে ভারতে দায়ের হওয়া বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলার ব্যাপারেই এই পরোয়ানা। অ্যামিকে শেষ প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল ২০১৯-এ, আমেরিকায়। কিন্তু এখন তিনি ঠিক কোথায় আছেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় তদন্ত সংস্থাগুলি। নীরব ব্রিটেনে বর্তমানে জেলবন্দি। প্রত্যর্পণের মাধ্যমে তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে লড়ছেন নীরব।


গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নিউইয়র্ক সিটিতে ৩০ মিলিয়ন ডলার দামে দুটি অ্য়াপার্টমেন্ট কেনায় সুবিধাভোগী হিসাবে অ্যামিকে অভিযুক্ত করে একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে তাঁর নাম উল্লেখ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অক্টোবরে নীরবের যে ৬৩৭ কোটি টাকা মূল্যের বিদেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়, তার মধ্যে ওই ফ্ল্যাটগুলি ছিল। নীরবের সেই সম্পত্তির মধ্য়ে আছে লন্ডনে ৫৬.৯৭ কোটি টাকা দামের একটি ফ্ল্য়াটও। রেড কর্নার নোটিশ জারি হয়েছে নীরব, তাঁর ভাই বেলজিয়ামের নাগরিক নেহাল, বোন পূরবীর নামেও।
বিদেশ থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পিএনবির নামে জাল গ্যারান্টি বের করার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ৪৮ বছরের নীরব ও তাঁর মামা ৬০ বছরের মেহুল চোকসি, দুজনেই। মে মাসে পেশ করা চার্জশিটে সিবিআই অভিযোগ করে, নীরব ৬৪৯৮.২০ কোটি টাকা ও মেহুল ৭০৮০.৮৬ কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন। দুজনেই ২০১৮য় দেশ ছেড়ে পালানোর পর তদন্তে নামে সিবিআই। গত বছর লন্ডনে গ্রেফতার হন নীরব। চলতি মাসে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্য়মে হাজির হওয়ার পর তাঁকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত হেফাজতে পাঠায় ব্রিটিশ আদালত। আর মেহুল ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নেওয়ার সুবাদে সেখানে আছেন। শারীরিক সমস্য়ার কারণ দেখিয়ে ভারতে ফিরছেন না তিনি। গত বছর অবশ্য অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন যাবতীয় আইনি রাস্তা ফুরোলে মেহুলের নাগরিকত্ব বাতিল হবে বলে জানিয়ে দেন।