অর্ণব মুখোপাধ্যায়, অযোধ্যা: রামমন্দিরের বিরুদ্ধে মামলা লড়েছেন। কিন্তু রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে, সেখানে হাজির হয়েছিলেন ইকবাল আনসারি। অন্যদিকে রামমন্দিরের জমির পাশেই রয়েছে নুর আলমের জমি। সেখানেই রামভক্তদের জন্য খোলা হয়েছে ভাণ্ডারা। খুশি নুরও।
অযোধ্যায় রাম মন্দির লাগোয়া জমির মালিক নুর আলম বলেন,আরে আমি তো প্রতিবেশী। সব থেকে বড় বিষয় তো এটাই। অযোধ্যায় বিতর্কিত জায়গায় কি মসজিদ থাকবে, না কি সেখানে হবে রামমন্দির? এই দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলেছে আইনি লড়াই। যা নিয়ে অযোধ্যায় কার্যত আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গেছিলেন দুই ধর্মের বিভিন্ন সংগঠনও। কিন্তু, শেষমেশ ২০১৯-এর ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে, দাড়ি পড়ে সেই আইনি লড়াইয়ের। আর চার বছর ধরে অযোধ্যার রামমন্দির গড়ে ওঠার পর, সোমবার সেখানে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার।
গোটা প্রক্রিয়া হয়েছে একেবারে শান্তিপূর্ণভাবে। কোথাও কোনও বিবাদ সামনে আসেনি।সেই সঙ্গেই যেনও, আরও স্বচ্ছ হয়েছে সম্প্রীতি।যার প্রকৃত উদাহরণ অবশ্যই ইকবাল আনসারি এবং নুর আলম।প্রথমজন, রামমন্দিরের বিরুদ্ধে মুসলিমদের পক্ষ নিয়ে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চালিয়ে এসেছেন। তবে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর, রামমন্দির নির্মাণকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সোমবার রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে, উপস্থিত ছিলেন ইকবাল।
অযোধ্যায় রামমন্দিরের বিরুদ্ধে মামলাকারী ও বাসিন্দা ইকবাল আনসারি বলেছেন, আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম, আমিও গিয়েছিলাম। বিশিষ্টজনেরাও এসেছিলেন, দেশ-বিদেশের লোকজন ছিলেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, মোহন ভগবত ছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন, ভাল লেগেছে। মন্দির তৈরি হয়েছে, ভাল তো লাগবেই। ভগবান আছে, প্রার্থনা হয়েছে, পুজো হয়েছে। সবাই ছিল, ভাল লেগেছে। অযোধ্যায় যে সরযূ নদী আছে, তা সবাইকে শান্ত রাখে।
আরও পড়ুন, 'I.N.D.I.A জোটের কফিনে..', মমতার 'একলা চলার ঘোষণা'য় কটাক্ষ মালব্যর
রামমন্দিরের জমির ঠিক পাশেই রয়েছে, নুর আলমের জমি। আর রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে তাঁর সেই জমিতেই ভাণ্ডারা খুলেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অমরপাল শর্মা। তাতে অবশ্য কোনও আপত্তি নেই নুরের।এখানেই রামমন্দির ও নুর আলমের জমি ও ভাণ্ডারার রান্না দেখিয়ে নুর আলম বলেন,চম্মত রাইয়ের নির্দেশ ছিল যে, এই VIP গেটে অনেক বেশি মানুষ থাকবে। আর এটা দেখেও বোঝা যাচ্ছে যে, যত ভক্তরা আসছেন, ওঁরা জানেন যে এখানে একটা ভাণ্ডারার আয়োজন করা হয়েছে। আর আমাদের এখানে জমি আছে, উনি বলেছেন যে এখানে রান্না হবে, আর এখানে ভাণ্ডারা চালু হবে। তো এইসব যে তৈরি করা হয়েছে, আর আমাদের একজন (প্রাক্তন) বিধায়ক আছেন, যিনি এই সবকিছুতে সহযোগিতা করছেন।