বহরমপুর: দিল্লিতে শৈতপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। কিন্তু ভরা পৌষে বাংলা থেকে হঠাৎই গায়েব হয়ে গিয়েছিল শীত। বরং তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করেছিল মাঝে। সেই রেশ কাটিয়ে ফের মাঘেও ঠান্ডার দাপট রয়েছে রাজ্যে। জানুয়ারি শেষ হওয়ার পথে থেকেই একটু একটু করে নামছে পারদ। বৃষ্টিও হয়েছে কয়েক পশলা। বৃহস্পতিবার বেশ ঠান্ডা থাকবে।
নতুন বছরের আগমন ঘটে গিয়েছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই ঠান্ডা জাঁকিয়ে পড়েবাংলায়। তার পর একধাক্কায় পারদপতন হয়েছে অনেকটাই। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের (Weather update) স ২২ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১০ ডিগ্রির মতো।
বৃহস্পতিবার আংশিক আকাশ পরিষ্কার থাকবে মুর্শিদাবাদ জেলায়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিন জেলায় ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার গতিতে- হাওয়া বইতে পারে। গত কয়েক দিনের তুলনায় ঠান্ডা যদিও কিছুটা কমই থাকবে। এদিন বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই।
বৃহস্পতিবার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলায় আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সকাল থেকেই অনুভূত হবে শীত। বেশ খানিকটা নামতেও পারে পারদ। (District Weather Updates)।
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশে পাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও কম থাকবে। জেলায় সকালে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার থাকবে ৭২ শতাংশের মতো। রাতের দিকে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার ৮৬ শতাংশের মতোই থাকবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট-
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা-৮৬ শতাংশ
সামগ্রিক আবহাওয়া-বেশ ঠান্ডা থাকবে
সূর্যোদয়- সকাল ৬টা বেজে ২০ মিনিট
সূর্যাস্ত- সন্ধে ৫টা বেজে ১৭ মিনিট
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বর্ধমানে আহত মুখ্যমন্ত্রী, আঘাত পেলেন মাথায়
রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।
এমনিতে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বৃষ্টির দেখা মেলে না সেভাবে, যদি না প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয় সাগরে। কিন্তু এবারে সেপ্টেম্বর অক্টোবরের শুরুতেও বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। বর্ষার মেয়াদ দীর্ঘায়িত হওয়াতেই এমনটা ঘটেছে বলে মত আবহবিদদের। ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতের আগমন ঘটে গিয়েছে। বিশেষ করে রাতের দিকে তাপমাত্রা অনেকটাই নিচে নেমে যাচ্ছে।