পশ্চিম এশিয়ার বাড়ছে সংঘাতের আবহ। এরই মাঝে উত্তেজনা বাড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হঠাৎ করেই জি-৭ সম্মেলন ছাড়লেন তিনি। তবে কি পশ্চিম এশিয়ার উত্তেজনার মাঝে ট্রাম্প কোনও বড় পদক্ষেপ করতে যাচ্ছেন ? কী পদক্ষেপ ? হোয়াইট হাউসের বক্তব্যের পর আরও জল্পনা বেড়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি জানিয়েছে,পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতির জন্যই জি-৭ সম্মেলনের সূচি শেষের আগেই ফিরতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। এই নিয়ে জল্পনা চড়তে থাকে। তারই মধ্যে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ট্রাম্প ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিতেই ওয়াশিংটনে ফিরছেন।
কিন্তু ট্রাম্প ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মন্তব্যকে ‘ভুল’ বলে উড়িয়ে দিলেন। কিছুটা কটাক্ষ করেই বললেন, ম্যাক্রোঁ সব সময় এমন ভুল ব্যাখ্যা করেন। এই সফরের আসল কারণ যুদ্ধবিরতি নয়—এটা তার চেয়েও বড় কিছু। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল হ্যান্ডেল ট্রুথ সোশ্যালে যা লিখলেন, তা আরও বড় জল্পনা উসকে দিয়েছে। তাঁর সমাজমাধ্যমের পোস্ট ঘিরে তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে যুদ্ধ থামানোর থেকেও বড় কিছু করতে চলেছেন তিনি। তাহলে সেটা কী ?
ট্রাম্পের পোস্টে যেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে হালকা খোঁচা'প্রচারপ্রার্থী' বলে ! ট্রাম্প লিখেছেন, "ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ভুল করে বলেছেন যে আমি কানাডায় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন ছেড়ে ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কাজে ফিরে যাচ্ছি। ভুল! তিনি জানেন না কেন আমি এখন ওয়াশিংটনে যাচ্ছি, তবে এটা নিশ্চিত যে যুদ্ধবিরতির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এর চেয়ে অনেক বড় কাজ আছে। ইমানুয়েল সবসময় ভুল কথা বলেন।"
ইরান, ইজরায়েলের সংঘাতের আবহে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, পরমাণু চুক্তিতে সই করা উচিত ছিল ইরানের। কানাডায় G7 সম্মেলনের মাঝেই সফর কাটছাঁট করে কানাডা থেকে আমেরিকা ফিরে যান ট্রাম্প। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জানান, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধি বন্ধে চুক্তি সই করার জন্য আমেরিকা ইরানকে ৬০ দিন সময় দিয়েছে, সময় পেরিয়ে গেলেও চুক্তি হয়নি। G7 সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, তাঁর ফিরে যাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু তিনি কেন , কী পদক্ষেপ করতে ফিরছেন তা স্পষ্ট করেননি।