নয়াদিল্লি: সকাল থেকে বোমা-গুলির শব্দ। এবার লেবাননে হামলা ইজরায়েলের। একসঙ্গে ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল তারা। এর পাল্টা জবাব দিয়েছে লেবাননের হেজবোল্লাও। ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে তারা। একসঙ্গে ১৫০টি হামলাকারী ড্রোন ছুড়েছে তারা। এই মুহূর্তে ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইজরায়েল। (Israel Attacks Lebanon Hezbollah)


যদিও হেজবোল্লার তরফেই এবার প্রথম ইজরায়েলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। সংগঠনের কমান্ডার ফুয়াদ শুকর হত্যার বদলা নিতে তারা প্রথমে রকেট ছোড়ে বলে অভিযোগ। হেজবোল্লার দাবি, ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ৩২০টির বেশি Katyusha রকেট ছোড়ে তারা। ইজরায়েলের সেনাঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। শত্রুপক্ষের হামলা প্রতিহত করতে ইজরায়েলের কাছে যে আয়রন ডোম রয়েছে, সেখানেও হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি হেজবোল্লার। (Israel-Hezbollah Conflict)


 ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গালান্ত দেশে ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করেন। ইজরায়েলি সেনা এর পর লেবাননে হামলা চালায়। আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান লয়েড অস্টিন ইজরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। গালান্ত বলেন, "ইজরায়েলি নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই লেবানন থেকে হামলার জবাব দিয়েছি আমরা। বেইরুটের দিকে নজর রাখছি আমরা। যা করণীয় তা করে ছাড়ব।"




ইজরায়েল এবং হেজবোল্লার মধ্যে যুদ্ধ বাধার উপক্রম এই মুহূর্তে। সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র সন স্যাভেট। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পেন্টাগনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন বাইডেন। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য আমেরিকা ইজরায়েলের পাশে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্যাভেট। 


ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই মুহূর্তে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে রয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইরানের মদতে হেজবোল্লা যে ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল। সেই মতো প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইজরায়েল। দক্ষিণ লেবাননে হেজবোল্লাকে লক্ষ্য করেই ৪০টি আকাশ থেকে ভূমিতে হামলাকারী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।


এই হামলাকে 'আত্মরক্ষার' তাগিদ বলে উল্লেখ করেছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হগরি জানিয়েছেন, হামলার আগে সতর্ক করেছিলেন তাঁরা, যাতে ওই এলাকা খালি করে দেওয়া হয়। এর পরই হামলা চালানো হয়। এই মুহূর্তে ইজরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনও বিমান উড়ছেও না, অবতরণও করছে না।


ইজরায়েল বনাম হামাস যুদ্ধের সময় থেকেই হেজবোল্লাকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। প্যালেস্তাইনের সমর্থনে ইজরায়েলকে বার বার চাপে ফেলেছে তারা। সম্প্রতি ইরানে হেজবোল্লার কমান্ডার ফুয়াদের মৃত্যুতে ইজরায়েল যোগ সামনে আসে। এর পরই সরাসরি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ভূমিকা দেখা যায় তাদের। ফুয়াদকে হত্যা করে ইজরায়েলই যুদ্ধ ডেকে এনেছে বলে দাবি হেজবোল্লার।