বারাণসী : ৩২ বছর পর দোষী সাব্যস্ত ! উঠতি কংগ্রেস নেতাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন গ্যাংস্টার মুক্তার আনসারি (Gangster Mukhtar Ansari)। যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পাঁচবারের বিধায়ক আনসারি বর্তমানে যিনি জেলেই রয়েছেন। অন্য একটি অপহরণ ও খুনের মামলায় তাঁর দশ বছরের কারাবাসের সাজা হয়েছিল।
১৯৯১ সালের ৩ অগাস্ট ভাই তথা তৎকালীন কংগ্রেস বিধায়ক অজয় রাইয়ের বাড়ির সামনে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন অওধেশ রাই। যে ঘটনার ভিত্তিতে অজয় রাই মুক্তার আনসারি, প্রাক্তন তথা প্রয়াত বিধায়ক আব্দুল কালাম, রাজেশ নায়েক ও আরও দু'জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন।
যে ঘটনার তদন্ত ও তাঁরপর আদালতের দীর্ঘ শুনানিপর্বের শেষে ৩২ বছর বাদে শোনান হল সাজা। বারাণসীর সাংসদ-বিধায়কদের বিশেষ আদালত যাবজ্জীবন সাজার রায় দিয়েছে। ১৯ মে জানানো হয়েছিল, ৫ জুন শোনানো হবে রায়। সে জন্য সোমবার সকাল থেকেই ছিল আঁটসাঁট নিরাপত্তা। সাজা ঘোষণার পর কংগ্রেস নেতা অজয় রাই বলেছেন, বিচারব্যবস্থার ওপর বরাবরই আস্থা ছিল। আশা রাখি সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে মুক্তার। শুধু খুনই নয়, একাধিকবার প্রমাণ মেটানোর জন্যও চেষ্টা চালিয়েছিল ও।
গত বছরের ডিসেম্বরে গাজিপুর আদালত ১০ বছরের কারাবাসের সাজা দিয়েছিল মুক্তার আনসারিকে। ১৯৯৬ গ্যাংস্টার অ্যাক্ট কেসে যে শাস্তি হয়েছিল তাঁর। অপহরণ ও খুনের মামলায় যে শাস্তি পেতে হয়েছিল বাহুবলী হিসেবে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে পরিচিত এই বিধায়ককে। প্রসঙ্গত, মুক্তার আনসারির বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন- বিদেশযাত্রার পথে বিমানবন্দরে আটকানো হল অভিষেক-পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে
১৯৯১ সালে কনস্টেবল রঘুবংশ সিংহের খুন ছাড়াও পুলিশের এক অ্যাডিশনাল সুপারিনটেন্ডেটের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে মুক্তার আনসারির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?