রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: শ্রমিক-মালিক বিবাদের জেরে বন্ধ হয়ে গেল জলপাইগুড়ির চ্যাংমারি চা বাগান। মঙ্গলবার রাতে বাগানের গেটে তালা জুলিয়ে দেয় মালিকপক্ষ। প্রতিবাদে সরব আইএনটিটিইউসি। বাগান বন্ধের ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। মালিকপক্ষের দাবি, শ্রমিক আন্দোলনের জেরে বাগানে কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সমস্যা সমাধানের রাস্তা খোঁজার আশ্বাস মালিকপক্ষের।


বাংলায় এবারের ভোটে অন্যতম ইস্যু বেকারত্ব। সব দলের তরফেই বিভিন্ন সভায় ঢালাও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। আর এই প্রেক্ষাপটেই রাজ্যের আরও একটি চা বাগান বন্ধ হয়ে গেল। ভোটের মুখে কাজ হারালেন জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রের চ্যাংমারি চা বাগানের প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক। বাগান মালিকের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরেই বিবাদ চলছিল শ্রমিকদের। মঙ্গলবার  রাতে চা বাগানের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় মালিকপক্ষ। বুধবার সকালে বাগানে এসে গেট বন্ধ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। চ্যাংমারির আইএনটিটিউসি নেতা মনোজ মুন্ডা অবশ্য জানান, ‘‘গতকাল গেট মিটিং করেছিলাম। আজ সকালে মালিকপক্ষ বৈঠক ডেকেছিল। কিন্ত সেই বৈঠক না করেই মালিকরা পালিয়ে যায়।’’


ভোটের মুখে বাগান বন্ধ হওয়ায় তৃণমূলকে নিশানা করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। জলপাইগুড়ির বিজেপি সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী জানান, ‘‘তৃণমূল ঝান্ডা লাগিয়ে আন্দোলন করছে। নিজেরাই বন্ধ করছে বাগান। এদের অত্যাচারেই মালিক পালিয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাগান খুলবে ৷’’


চা বাগান কর্তৃপক্ষের দাবি, শ্রমিকদের অভিযোগ ঠিক নয়।  আচমকা শ্রমিকরা বাগানে আন্দোলন শুরু করে। তাতে কাজ ব্যাহত হয়। বাগানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে সমস্যার সুরাহার চেষ্টা হবে। ১৭ এপ্রিল, পঞ্চমদফায় জলপাইগুড়িতে ভোট।  তার আগে কি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে?  কাজ ফিরে পাবেন ৮ হাজার শ্রমিক?