জয়পুর: কাজের ব্লু-টুথ হেডফোনই 'কাল হল' যুবকের। কানে হেডফোন ফেটে মৃত্যু হল জয়পুরের এক বাসিন্দার। পুলিশ জানিয়েছে, পড়ার জন্য হেডসেট ব্যবহার করছিলেন বছর ২৮-এর ওই যুবক। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি চলছিল জোরকদমে। বাড়িতেই ব্লু-টুথ হেডফোন কানে লাগিয়ে ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন সিলেবাস। হঠাৎই ছন্দপতন। ঘটে বিকট আওয়াজ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পরিচিতরা দেখেন, জ্ঞান হারিয়েছেন রাকেশ। তারপর আর সম্বিত ফেরেনি যুবকের। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, দুই কানেই মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে রোগীর। পরে চিকিৎসা শুরু হলেও রাকেশকে বাঁচানো যায়নি। তাঁকে মৃত বল ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


ঘটনার আকস্মিকতা চমকে দিয়েছে জয়পুরের চোমুর বাসিন্দাদের। পাশের বাড়ির ছেলের ব্লু-টুথ হেডফোন ফেটে মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ব্লু-টুথ হেডফোন কোনও ইলেকট্রিকের বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেই থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। যুবকের মৃত্যু প্রসঙ্গে সিদ্ধিবিনায়ক হাসপাতালের চিকিৎসক এলএন রুন্দলা জানান, রোগীকে অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসার সময় উনি মারা যান। সম্ভবত হার্টফেল করে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। 


পুলিশ জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতেই বিয়ে করেছিলেন রাকেশ। পরিবারে তিনিই ছিলেন বড় ছেলে। স্বাভাবিকভাবেই ছেলের এই মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পরিবার। তবে এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। অতীতেও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গেজেটের বলি হয়েছে মানুষ। দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে কথা বলার সময় তা ফেটে আগুন ধরে যায়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকেই মোবাইলে বিস্ফোরণ ঘটে। যা থেকে যুবতীয় গায়ে আগুন লাগে। পরে সেই আগুনেই মৃত্যু হয় দুর্গাপুরের যুবতীর।


প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলেন, মোবাইল বা কোনও ইলেকট্রিক্যাল গেজেট চার্জে দিয়ে কথা বলতে নেই। অতিরিক্ত তাপ বেড়ে যাওয়ায় তা ফাটার সম্ভাবনা থাকে। অতীতেও এই ধরনের বহু ঘটনা দেখেছে বিশ্ব। স্যামসাংয়ের জনপ্রিয় নোট সিরিজ ফোনের ব্যাটারি ফেটে বিপত্তি ঘটে বহুবার। শেষে বিমানে স্যামসাঙের নির্দিষ্ট নোট সিরিজের ফোন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বেশ কিছু বিমানসংস্থা।