নয়াদিল্লি: ২৬/১১-র মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার আসন্ন বর্ষপূর্তিতে ‘বড় কিছু ঘটানো’র ছক কষেছিল বৃহস্পতিবার জম্মুর উপকণ্ঠে এনকাউন্টারে নিহত চার জয়েশ-ই-মহম্মদ সন্ত্রাসবাদী, এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ হতেই জোর তৎপরতা সরকারি স্তরে।


দেশের নিরাপত্তা পরিস্থতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার রিভিউ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দুজনে কথা বলেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে।  জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ও শীর্ষ গোয়েন্দা আধিকারিকরাও ছিলেন সেখানে।


বৈঠকের পর একাধিক ট্যুইটের মাধ্যমে মোদি বলেন, ৪ জঙ্গির খতম হয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এর থেকে পরিষ্কার, তাদের এদেশে বড় হামলা চালানোর অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।





একইসঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চরম সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। তাঁরা সজাগ ছিলেন বলেই এক ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা মিলেছে। জম্মু ও কাশ্মীরে স্থানীয় স্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালানো যাতে না সম্ভব হয়, সে কারণে এই ছক কষেছিল তারা।





গতকাল জম্মুর কাছে নাগরোটায় ভারতে সম্প্রতি অনুপ্রবেশ করা জঙ্গিদের লুকিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি ট্রাককে নিরাপত্তাকর্মীরা আটকালে দুপক্ষের এনকাউন্টার হয়। তাতে নিহত হয় সন্দেহভাজন চার জয়েশ সন্ত্রাসবাদী। জম্মু পুলিশের আইজিপি মুকেশ সিংহ সংঘর্ষের পর জানান, সামনেই ২৬/১১-র হামলার বর্ষপূর্তিতে ওই নিহত সন্ত্রাসবাদীদের বড়সড় নাশকতার ছক ছিল। তারা সেজন্যই ঢুকেছিল এদেশে। তা ব্যর্থ করা গিয়েছে।


প্রসঙ্গত, চলতি বছর মুম্বই হামলার ১২তম বর্ষপূর্তি। ২০০৮ এর সেই দিনটিতে আরব সাগরে জলপথে মুম্বই ঢুকে আজমল কসাব সহ বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী নির্বিচার হামলা চালায়। ১৫০-র বেশি লোক নিহত হয়, জখম হয় বহু। রক্তাক্ত হয় দেশের বাণিজ্যনগরী।