কংগ্রেস সাংসদ কেন লাদাখে ভারতীয় জওয়ানদের শহিদ হওয়ার জন্য 'অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া'ই পাঠানো হয়েছিল, প্রশ্ন তোলেন, বলেন, ওঁদের এভাবে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য দায়ী কে? চিন ভারতীয় জওয়ানদের মেরে ফেলার সাহস পায় কী করে, সেই প্রশ্নও করেন রাহুল। জবাবে বিদেশমন্ত্রী ট্যুইটে লেখেন, আসুন আসল তথ্য ঝালিয়ে নেওয়া যাক। সীমান্তে কর্তব্যরত সব সেনা জওয়ানের হাতেই সবসময় অস্ত্র থাকে, বিশেষত চৌকি ছাড়ার সময়। ১৫ জুন গালওয়ানে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও সেটাই করেছিলেন। মুখোমুখি সংঘাতের সময় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার নিয়ম (১৯৯৬ ও ২০০৫ এর চুক্তি অনুযায়ী) বহুদিনের পুরানো। প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে গালওয়ানে ভারত, চিনের সেনাবাহিনীর তীব্র সংঘর্ষে এক কর্নেল সমেত ২০ জন ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারান। চিনের তরফে সরকারিভাবে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। যদিও তাদের তরফে ৪৩ জনের হতাহত হওয়ার খবর মিলেছে নানা বেসরকারি সূত্রে। সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা অস্ত্র সঙ্গে রাখেন, রাহুলের গালওয়ানে ‘নিরস্ত্র সেনা’ পাঠানোর দাবি খারিজ করলেন বিদেশমন্ত্রী
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 18 Jun 2020 06:08 PM (IST)
কংগ্রেস সাংসদ কেন লাদাখে ভারতীয় জওয়ানদের শহিদ হওয়ার জন্য 'অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া'ই পাঠানো হয়েছিল, প্রশ্ন তোলেন, বলেন, ওঁদের এভাবে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য দায়ী কে?
নয়াদিল্লি: রাহুল গাঁধীর বক্তব্য ট্যুইট করে খারিজ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাবাহিনীর মোকাবিলায় ভারতীয় জওয়ানদের খালি হাতে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করে কেন ওদের ‘নিরস্ত্র অবস্থায় শহিদ হতে পাঠানো হল’, প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল। বিদেশমন্ত্রী রাহুলের এহেন অভিযোগের পাল্টা জানিয়েছেন, চিন সীমান্তে পাহারায় থাকা সব ভারতীয় সেনা জওয়ানের হাতেই অস্ত্র থাকে। কিন্তু ১৯৯৬ ও ২০০৫ সালে স্বাক্ষরিত দুটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে ভারত, চিনের জওয়ানরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেন না।