শ্রীনগর: তীর্থযাত্রীদের (Pilgrims) সংখ্যা কমে আসছে। শুরু হয়েছে মেরামতির কাজ। সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে, আগামী ২৩ অগাস্টের পর থেকে অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra Suspended) বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করল জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ দফতর।
কী জানা গেল?
এই মর্মে রবিবার জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ দফতর একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, '৬২ দিনব্যাপী চলতে থাকা অমরনাথ যাত্রা আগামী ২৩ অগাস্টের পর থেকে বন্ধ রাখা হচ্ছে। তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা কমতে থাকা এবং সংস্কার কাজকর্ম, এই দুইয়ের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' অনন্তনাগ জেলার পহলগাম এবং গান্ডেরবাল জেলার বালতাল, দুটো রুট দিয়ে একই সঙ্গে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল। তথ্য ও জনসংযোগ দফতরের পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে তাতে ৪ লক্ষ ৪০ হাজারেরও বেশি পুণ্যার্থী অমরনাথ-দর্শনে ভিড় জমিয়েছেন। তবে আপাতত মন্দির বোর্ড যা জানিয়েছে তাতে স্পষ্ট যে পুণ্যার্থীদের সংখ্যা কমছে। পাশাপাশি, অমরনাথ যাত্রার পথে অবিলম্বে সংস্কার এবং মেরামতি করা দরকার ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। এই অবস্থায় ওই দুটি পথ দিয়েই পুণ্যার্থীদের যাতায়াত মোটেও উচিত নয়। তবে যাত্রার চূড়ান্ত দিন, 'Chadi Mubarak', আগামী ৩১ অগাস্ট পহলগামের চেনা রাস্তা দিয়েই যাবে, সে কথাও জানিয়েছে ডিআইপিআর।
প্রেক্ষাপট...
গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল অমরনাথ যাত্রার। জম্মুর ভগবতী নগর বেস ক্যাম্প থেকে শুরু হবে হাঁটা। এখান থেকে কাশ্মীর উপত্যকার বেস ক্যাম্পে যাবেন দর্শনার্থীরা। সেখান থেকেই দক্ষিণ কাশ্মীরের শিবতীর্থ অমরনাথ দেবদর্শনে যান যাত্রীরা। ৩৮৮০ মিটার উচ্চতায় রয়েছে অমরনাথ তীর্থক্ষেত্র। যে দুই পথের কথা বলা হয়েছে, সেই দুটি কেমন? সাধারণত অনন্তনাগ জেলার অন্তর্গত নানওয়ান-পহলগাম রুট দিয়ে অমরনাথ-দর্শনে যান তীর্থযাত্রীরা। ৪৮ কিলোমিটার লম্বা এই রুটে সময় বেশি লাগে। কিন্তু সেরকম চড়াই নয়। এছাড়াও রয়েছে গান্ধেরবাল জেলার অন্তর্গত বালতাল রুট, ১৪ কিলোমিটারের এই রুটে সময় কম লাগলেও মারাত্মক চড়াই রয়েছে এই রাস্তায়। এই যাত্রা ঘিরে প্রতিবছরই কাশ্মীরের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জম্মুর ভগবতী বেস ক্যাম্পে বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি রাখা হয়েছিল। যে কনভয় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিল, তার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল সিআরপিএফ। এরিয়া ডমিনেশনে করে সেনা এবং স্থানীয় পুলিশ।