কুপওয়াড়া : ৫ জঙ্গিকে গুলি করে খতম করল ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়াড়ার ঘটনা। অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান চালাচ্ছিল নিরাপত্তাবাহিনী। সেই সময় জঙ্গিদের নিকেশ করা হয়।


বৃহস্পতিবার রাতে যৌথ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা ও পুলিশ। উত্তর কাশ্মীর জেলার জুমাগুন্ড এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরক্ষা বরাবর বিশেষ খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয় ওই রাতে। কাশ্মীরের এ ডি জি পি বিজয় কুমার ট্যুইটারে জানান, এনকাউন্টারে পাঁচ বিদেশি জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে।


সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার জঙ্গিদের রুখে দিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী (Security Forces)। সেই মতই জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান চালানো হয়। গতকালই পুঞ্চ সেক্টরে (Poonch Sector) অনুপ্রবেশ রুখে দেয় ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সেখান থেকে বিশাল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বারুদ উদ্ধার করা হয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বড়সড় অনুপ্রবেশের (Infiltration) চেষ্টা রুখে দেয় নিরাপত্তাবাহিনী। এটা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর দিয়ে জঙ্গি ঢোকানোর মারাত্মক চেষ্টা করছে।


গত মে মাসেই নিরাপত্তা বাহিনীর (Security Forces) সঙ্গে সংঘর্ষে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) বারামুলায় নিহত হয় ২ জঙ্গি (Terrorists Killed)। খবর পেয়ে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের সঙ্গে তীব্র গুলির লড়াইয়ে মারা যায় ২ জঙ্গি। ঘটনাস্থল থেকে AK 47 রাইফেল এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এর আগে, কুপওয়াড়ায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে ২ জঙ্গির প্রাণ যায়।


গত ফেব্রুয়ারিতে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের রক্তে লাল হয়েছিল উপত্যকা। ট্যুইটারে হামলার খবরে সিলমোহর দেয় কাশ্মীর জোন পুলিশ। তাদের ট্যুইটাার হ্যান্ডলে লেখা হয়, 'সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। নিহত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় শর্মা। কাশীনাথ শর্মার ছেলে তিনি। সকালে বাজারে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ই গুলি চলে'। হামলার পর তড়িঘড়ি সঞ্জয়কে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে। জম্মু ও কাশ্মীরে এই নিয়ে আরও একবার সংখ্যালঘু পণ্ডিতদের উপর হামলা চালানো হয়।


গত বছর, পর পর এমন বেশ কয়েকটি হামলা চালায় জঙ্গিরা। কিন্তু অক্টোবরের পর থেকে কিছুটা শান্তি ফিরেছিল। ফেব্রুয়ারির ঘটনায় তাতে ছেদ পড়ে। সাত সকালে বাজার যাওয়ার পথে জঙ্গিদের গুলিতে মারা যান কাশ্মীরি পণ্ডিত ওই ব্যক্তি।