শ্রীনগর : বিশাল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ (Arms and Ammunitions) উদ্ধার। কার্যত "যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির" মতো মজুত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একে-৭৪ রাইফেল, পাকিস্তানে তৈরি হ্যান্ড গ্রেনেড ও বেলুন। যাতে লেখা "আই লাভ পাকিস্তান"। জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার উরি সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ওই আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়। এমনই জানানল এক সেনা আধিকারিক (Army Officer)। 


পাকিস্তানের দিক থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশ এবং যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলা-বারুদ কাশ্মীরে পাচারের আশঙ্কার আবহেই এই পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল। কারণ, এই মুহূর্তে উপত্যকায় আগ্নেয়াস্ত্র বা গোলা-বারুদ কম পরিমাণে রয়েছে, বল মন্তব্য করেন ওই সেনা আধিকারিক।


সেনার ১৯ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিসনের মেজর জেনারেল অজয় চন্দপুরিয়া বলেন, বিভিন্ন এজেন্সির কাছ থেকে গত দুই সপ্তাহ ধরে ইনপুট মেলে যে, অনুপ্রবেশের চেষ্টা হতে পারে এবং উরির রামপুর সেক্টরের হাতলঙ্গা এলাকার জঙ্গিরা যুদ্ধের রসদ মজুত করতে পারে। তার পরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। হাথলঙ্গা এলাকায় গত শুক্রবার তল্লাশি অভিযান চলছিল। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলা-বারুদ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- আটটি একে-৭৪ রাইফেল, ২৪টি একে-৭৪ রাইফেল ম্যাগাজিন, ৫৬০টি ৭.৬২ মিমি একে-৭৪ লাইভ অ্যামিউনিশন, ২৪টি চাইনিজ পিস্তল ম্যাঙ্গানিজ-সহ অন্যান্য সামগ্রী। সেনা আধিকারিকের বক্তব্য, কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক। কারণ, জঙ্গি এবং যুদ্ধের রসদ সর্বকালীন কম অবস্থায় রয়েছে। 


গত নভেম্বর মাসেই জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish E Muhammed) জঙ্গি (terrorist) সন্দেহে জম্মু (jammu) থেকে তিন জনকে গ্রেফতার (arrest) করে পুলিশ (police)। সঙ্গে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র (arms) উদ্ধার করে তারা। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের দাবি, তিনটি একে ৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি পিস্তল এবং খানছয়েক গ্রেনেড পাওয়া যায়। নরওয়াল এলাকার একটি তেলের ট্যাঙ্কার থেকে সব কিছু উদ্ধার হয়। 



তার আগের মাসেও একটি জঙ্গি মউিডল ধরা পড়েছিল কাশ্মীরে। পুলিশ দাবি করে, মডিউলটির কাজকর্ম ইউরোপ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। সেই অভিযাগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। অস্ত্র পাচার ও ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র ফেলার ঘটনায় জড়িত ওই দুজন, এমনই অভিযোগ করে পুলিশ। তার আগে, গত সেপ্টেম্বর মাসে শ্রীনগরে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে শেষ করে পুলিশ। ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল আনসার গাজওয়াত উল-হিন্দের ওই দুই সদস্য, জানান অভিযানকারীরা। তার পরও যে অস্ত্র পাচারের প্রবণতা কমছে না, সেটা মোটামুটি স্পষ্ট।