কাঠুয়া (জম্মু ও কাশ্মীর): নরম গলায় 'মোদিজি'-র কাছে স্কুলের হাল ফেরাতে আর্জি জানিয়েছিল সে। সেই ভিডিও আগুনের গতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই কাজ শুরু করল জন্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। তাদের আশ্বাস, শীঘ্রই ছোট্ট শিরাতের স্কুলের হাল ফিরবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ক্লাসরুম থেকে স্বচ্ছ শৌচালয়, সব কিছুর ব্যবস্থা করা হবে কাঠুয়ার জেলার ওই স্কুলটির জন্য। 


ফিরে দেখা...
'মোদিজি...আপনি তো সকলের কথা শোনেন...আমার কথাও দয়া করে শুনুন...' চার মিনিটের ভিডিওর শুরুতে এভাবেই আর্জি জানাতে শোনা গিয়েছিল কাঠুয়ার খুদে বাসিন্দা শিরাত নাজকে। ভিডিওয় ঘুরে ঘুরে নিজের স্কুলের বেহাল দশা তুলে ধরেছিল সে। নরম সুরে জানিয়েছিল, মাঝেমধ্যেই পড়ুয়াদের মাটিয়ে বসতে হয় যার ফলে তাদের ইউনিফর্ম নষ্ট হয়ে যায়। বাথরুমের অবস্থাও তথৈবচ। প্রকাশ্যে শৌচকর্মের নানা অসুবিধা, অর্ধেক শেষ হওয়া স্কুলভবন, সব কিছুর কথাই ওই ভিডিওয় বলেছিল খুদে পড়ুয়া। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আবেদন, 'আপনি তো গোটা দেশের কথা শোনেন। তা হলে আমার কথাও শুনুন। একটা ভাল স্কুল বানিয়ে দিন যাতে আমরা লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারি ও ইউনিফর্মে নোংরা লাগায় মা-দের কাছে আর বকুনি না খেতে হয়।' ভিডিওটি অবিশ্বাস্য গতিতে ভাইরাল হয়। তার পরই নড়েচড়ে বসে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন।



কী বলছে প্রশাসন?
প্রশাসনের দাবি, স্কুলটির আধুনিকীকরণের জন্য আগেই ৯১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু কিছু প্রশাসনিক অনুমোদন ধাক্কা খাওয়ায় সেই প্রক্রিয়া ধাক্কা খেয়েছিল। সেই প্রশাসনিক জট ছাড়ানো হয়েছে। কাজও চলছে। কিন্তু যার ভিডিও-র সৌজন্যে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন, সেই শিরাত কী বলছে? খুশির মেজাজ স্পষ্ট তার গলায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে সে বলেছে, 'প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে আমি নিজেই ভিডিওটি বানিয়েছিলাম। তার পর যে কাজ শুরু হয়েছে তাতে আমি খুশি।' খুশির হাওয়া গ্রামবাসীদের মধ্যেও। তাঁদের আশা, শহরের স্কুলগুলির মতোই এই স্কুলটিরও আধুনিকীকরণ হবে। তবে এই সবের নেপথ্যেই যে ছোট্ট শিরাতের ওই ভিডিও, সেটি মানছেন সকলেই।  


আরও পড়ুন:একে গরমে রক্ষে নেই, জলকষ্ট দোসর! ঝালদায় ৭ ঘণ্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ বাসিন্দাদের