দেশে এখনও কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জারি রয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে যন্তরমন্তরে প্রতিবাদে সামিল হন কৃষকরা। সেই সমাবেশে এক সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগও ওঠে। যা নিয়ে সরব হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি। আন্দোলনরত কৃষকদের ‘মাওয়ালি’ বলে বিতর্ক বৃদ্ধি করেন তিনি। বিজেপি নেত্রীর কথায়, "ওঁরা কৃষক নন, গুন্ডা। এই কাজ লজ্জাজনক ও অপরাধমূলক।"


মীনাক্ষী লেখির এই মন্তব্যর পরই হইচই শুরু হয় রাজনৈতিক থেকে কৃষি মহলে। কৃষক সংগঠনের নেতা রাকেশ টিকায়েত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির এ হেন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, "কৃষকরা কৃষকই। তারা গুন্ডা নয়। গোটা দেশের অন্নদাতা কৃষকরা। দেশের ৮০ কোটি অন্নদাতার অপমান। গুন্ডা তারাই যাদের কিছু নেই। আমরা যদি গুন্ডা হই তাহলে মীনাক্ষীজি কৃষকদের ফলানো ফসল খাওয়া বন্ধ করে দিন। আমরা এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি।" 


এদিকে, কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাত থেকে কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে একহাত নেন বিজেপি নেত্রী।। এই ঘটনার নিন্দা করে মীনাক্ষী লেখি বলেন, "তৃণমূল সাংসদের আচরণ লজ্জাজনক। তৃণমূল ও কংগ্রেসের মতো দলের মান এতটাই নীচে নেমে গেছে যে দেশের প্রধান রাজনৈতিক বিরোধী হয়েও তারা দেশের মর্যাদা ও অখণ্ডতার অপমান তাদের জন্য কোনও উদ্বেগের বিষয় নয়।" 


পেগাসাস বিতর্ক নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপি নেত্রী। এই স্পাইওয়্যার বিতর্ককে 'ভুয়ো খবর' হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। কংগ্রেসকে নিশানা করে মীনাক্ষীর তোপ, মোদী সরকারকে সংসদকে সঠিকভাবে কাজ করতে না দেওয়া হয় না। পেগাসাস ইস্যু নিয়ে বিরোধী দলগুলিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। [


নেত্রীর কথায়, পেগাসাসের এই রিপোর্ট ভারতকে বদনাম করার জন্যই তৈরি হয়েছে। সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনকে জাল এবং ভুয়ো তকমা দিয়েছেন তিনি। মীনাক্ষী লেখি বলেন, এই বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থার হাতে কোনও প্রমাণ নেই। তালিকায় ১০টি দেশের নাম থাকলেও ভারতকেই নীচে নামানো চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশের বিরোধীরা।