রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: জম্মুর (Jammu) রামবন সুড়ঙ্গে উদ্ধার কাজ শেষ আটকে থাকা ৯ জনেরই মৃত্যু। নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গ ভেঙে বিপত্তি ঘটে গতকাল। জম্মুর (Jammu Accident) রামবানে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন জলপাইগুড়ির ৫ শ্রমিক। নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) পুলিশ সুপার ও ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান।
ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে ফের দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বাংলার শ্রমিকরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, খোঁজ মিলছিল না জলপাইগুড়ির ৫ শ্রমিকেরও। জম্মুর রামবানে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের কাছে তৈরি হচ্ছে একটি সুড়ঙ্গ। সেখানেই কাজ করছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই সুড়ঙ্গের একাংশ ভেঙে পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকালই ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অন্তত ৯ জন শ্রমিক আটকে পড়েন বলে খবর ছিল গতকালই। যার মধ্যে ৫ জন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির বাসিন্দা ।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নিখোঁজ শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন গধেয়ার কুঠি এলাকার ৩ জন পরিমল রায়, দীপক রায় ও সুধীর রায়। এবং মাগুরমারি এলাকার ২ শ্রমিক যাদব রায়, গৌতম রায় নিখোঁজ। সকলেই ৩ মে রামবানে কাজে যান ।
নিখোঁজ শ্রমিক যাদবের মা পুস্প রায়ের কথায়, ১৫-২০ আগে যায়। পরশু রাতে শেষ কথা । রোজ কথা হত । কীভাবে আটকে গেছে জানিনা। আজ ফোন করেনি। শুনলাম দুর্ঘটনা ঘটেছে । এদিন নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার ও ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্তের কথায়, ধূপগুড়ির ৫ জন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। মারা যাওয়ার খবর আনভেরিফায়েড। টানেলে কাজ করছিল। জম্মু প্রশাসন সূত্রে খবর, উদ্ধারের সময় যন্ত্র দিয়ে পাথর সরাতে গেলে আরও বেশি মাটি ধসে যাচ্ছে। ফলে দেরি হচ্ছে উদ্ধারকাজে।
ভিনরাজ্যে নিখোঁজ ৫ শ্রমিক