টোকিও: তীব্র ভূমিকম্পে জাপানে (Japan Earthquake) ফিরল ২০১১ সালের ভয়ঙ্কর সুনামি-আতঙ্ক (Tsunami Scare)। সুনামি-সতর্কতার (warning) মধ্যে ওয়াজিমা শহরে আছড়ে পড়ল বিশাল ঢেউ। ভূমিকম্পের ১০ মিনিটের মধ্যেই ১২ ফুটের ঢেউ আছড়ে পড়ল ওয়াজিমা বন্দরে। রিখটার স্কেলে (Richter Scale) কম্পনের মাত্রা ৭.৬, ভাঙল বহু বাড়ি।


জাপানে সুনামি-আতঙ্ক, আছড়ে পড়ল বিশাল ঢেউ


বর্ষবরণের দিনেই দুঃসংবাদ। জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্প, আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, আছড়ে পড়তে পারে সুনামি। সেই আতঙ্কের মধ্যেই বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ল ওয়াজিমা শহরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৬। 


একাধিক বাড়ি ভেঙেছে জাপানে। বন্ধ হয়ে গেছে একাধিক হাইওয়ে, ৩৩ হাজারেরও বেশি বাড়ি আপাতত বিদ্যুৎহীন। ৫ মিটার উঁচু সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা আবহবিদদের। ভূমিকম্পের পরেই জাপান জুড়ে সুনামির সতর্কতা জারি হয়েছে। সুনামির আশঙ্কায় ইতিমধ্য়েই খালি করে দেওয়া হয়েছে পশ্চিম উপকূল। ভূমিকম্পের এপিসেন্টারের ৩০০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যেই সুনামির আশঙ্কা সবথেকে বেশি। ভূমিকম্পের জেরে ওয়াজিমা শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। 


নোটো উপদ্বীপের নানাওতে দুই জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের দু'জনকে উদ্ধার করার পর অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ দেখা যায়নি। ইশাকাওয়া প্রিফ্য়াকচারের ওয়াজিমায় বাড়ি ভেঙে পড়ে অন্তত ৬ জনের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আওয়ারা, ফুকুই প্রিফেকচারে ভেঙে পড়ে যাওয়া বাড়ির আঘাতে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গুরুতর আহত দুই মহিলাকে। ইটোইগাওয়া, নিগাতা প্রিফেকচারে বাড়ি খালি করার সময় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান এক বৃদ্ধা। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ৫১ হাজার বাসিন্দাকে বাড়ি খালি করে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওয়াজিমার এয়ার সেলফ ডিফেন্স ফোর্স-বেসে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় হাজার খানেক বাসিন্দা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে তাঁদের জন্য কম্বল, পানীয় জল ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: Ram Lala Bhog Prasad: রাম লালার পাতে ৫৬ রকমের ভোগ! কী কী রয়েছে তাতে?


মাত্র দিন চারেক আগেই জাপানে পর পর তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কুরলি দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় পর পর দু'বার তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৫ এবং ৫.০। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে-র (USGS) তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো বেজে ৪৫ মিনিটে প্রথম বার তীব্র কম্পন অনুভূত হয়।  প্রথমে ৬.৫ তীব্রতায় কেঁপে ওঠে ওই এলাকা। তার পর, দুপুর ৩টে বেজে ৭ মিনিটে আবারও কেঁপে ওঠে মাটি। সেই সময় রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৫.০। ২০২৩ সালে বছরভরই কম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানে। গত ডিসেম্বর মাসের শুরুতেও সেখানে ভূমিকম্প হয়। সেবার রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৭.৫। ফিলিপিন্সের দক্ষিণের মিনদানাওয়ে ভূমিকম্প হয়, তার জেরে কেঁপে ওঠে জাপানও। তার আগে, মে মাসেও ৬.৫ তীব্রতায় কেঁপে ওঠে জাপানের পশ্চিমের ইশিকাওয়া এলাকা। তাতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। আহত হন বহু মানুষজন। ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং অগাস্ট মাসেও ভূমিকম্প হয়েছে জাপানে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।