রাঁচি: কনস্টেবলের চাকরি পেতে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে গিয়ে প্রাণ গেল কমপক্ষে ১০ জনের। ঝাড়খণ্ড আবগারি বিভাগের কনস্টেবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। শনিবার ছিল শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষা দিতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল ১০ জনের। এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে তারা। (Jharkhand Constable Recruitment Physical Test)
ঝাড়খণ্ড পুলিশের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ড আবগারি বিভাগে কনস্টেবল নিয়োগের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা চলছিল। রাজ্যের মোট সাতটি কেন্দ্রে পরীক্ষা চলছিল, রাঁচি, গিরিডি, হাজারিবাগ, পালামু, পূর্ব সিংভূম এবং সাহেবগঞ্জে। শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে গিয়ে একাধিক কেন্দ্র মিলিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়। কী কারণে মৃত্যু হল তাঁদের, তার সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। (Jharkhand Constable Recruitment)
ঝাড়খণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক মেডিক্যাল টিম, ওষুধপত্র, অ্যাম্বুল্যান্স, পানীয় জলের ব্যবস্থা ছিল। কোথাও কোনও খামতি রাখা হয়নি। কিন্তু রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি বাবুলাল মারান্ডি এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাইছেন। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজন করে সদস্যকে চাকরি দিতে হবে বলেও দাবি তুলেছেন তিনি।
বাবুলালের দাবি, মাঝরাতে শুরু হয়েছিল শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা। পর দিন দুপুর পর্যন্ত খাঁ খাঁ রোদে সকলকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল ঠায়। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে যথেষ্ট ব্যবস্থাপনা ছিল না। তাঁর দাবি, অবিলম্বে রাজ্যের সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পরিবারগুলিকে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতেও অনড় তিনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু ১০ পরীক্ষার্থী মারাই যাননি, গতকাল পরীক্ষা চলাকালীন অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েন। পালামুতে কমপক্ষে ২৫ জন সংজ্ঞা হারান। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানে তিন জন মারা যান। হাসপাতালের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, দমবন্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন ওই তিন জন। যন্ত্রণা সহ্য করার জন্য তাঁরা অ্যানাস্থেটিক ওষুধ নিয়ে থাকতে পারেন বলেও দাবি চিকিৎসকদের।
সবমিলিয়ে গতকাল প্রায় ১০০ পরীক্ষার্থী সংজ্ঞা হারান বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর সকাল ৯টার পরিবর্তে রাত ভোর ৪টেয় পরবর্তী পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে।