- Home
-
খবর
LIVE UPDATES: ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি পেল ৪৭ আসন, বিজেপির ঝুলিতে মাত্র ২৫টি, জোটে আস্থা রাখায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে টুইট সনিয়ার
LIVE UPDATES: ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি পেল ৪৭ আসন, বিজেপির ঝুলিতে মাত্র ২৫টি, জোটে আস্থা রাখায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে টুইট সনিয়ার
এক্সিট পোল বলছে, ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা।
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Last Updated:
24 Dec 2019 08:08 AM
মহারাষ্ট্র হাতছাড়া হওয়ার মাসখানেকের মধ্যে এবার ঝাড়খণ্ডেও ক্ষমতাচ্যুত বিজেপি। তাদের টেক্কা দিয়ে বড়সড় সাফল্যের মুখ দেখল কংগ্রেস-JMM জোট। নির্দল প্রার্থীর কাছে হারলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন, জোড়া আসনে জয়ী, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ডের ১৪টি আসনের মধ্যে ১২টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু, সাতমাসের মধ্যে সেই রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়ল তারা। ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৪১। কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও আরজেডি জোট পেয়েছে ৪৫ টি আসন। একা লড়ে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২৬টি আসন। ঝাড়খণ্ড বিকাশ পার্টি ৩টি। অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন পেয়েছে ৩টি আসন। অন্যান্যরা জিতেছে ৪টি আসনে।
বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন রাজ্যপাল।
দুমকা ও বারবাইত-দুই আসনেই জয়ী হেমন্ত সোরেন। দুমকায় জয়ী হলেন ১৩,১৮৮ ভোটের ব্যবধানে। বারহাইতে জিতলেন ২৫, ৭৪০ ভোটে।
বাগোদর আসনে জয়ী সিপিআই (এম-এল) প্রার্থী বিনোদ কুমার সিংহ।
ঝাড়খণ্ডের ভোটে জেএমএম জোটের সাফল্যের কারণে হেমন্ত সোরেনের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হওয়াটা এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনিই ছিলেন জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। ভোট গণনার প্রবনতা অনুযায়ী, ৮১ সদস্য বিশিষ্ট রাজ্য বিধানসভার আসনে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোট এগিয়ে ৪৪ আসনে, বিজেপি এগিয়ে ২৭ আসনে, জেভিএম ৩, আজসু ৩ ও অন্যান্য ৪ আসনে এগিয়ে। জোটের সাফল্যের পর সাংবাদিক বৈঠকে হেমন্ত সোরেন বলেছেন, মানুষ তাঁদের ওপর আস্থা রাখায় তিনি ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আজকের দিন তাঁর পক্ষে সংকল্প গ্রহণের দিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। জেএমএম নেতা শরিকদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ঝাড়খণ্ডে আজ নয়া অধ্যায় শুরু হচ্ছে। আমি লালুপ্রসাদ যাদব, সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এটা মহাজোটের জয়।
ভোটগণনার প্রবণতায় কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোট এগিয়ে ৪৬ আসনে। বিজেপি এগিয়ে মাত্র ২৫ আসনে। জেভিএম ৩ , আজসু ৩ ও অন্যান্যরা ৪ আসনে এগিয়ে।
ভোটগণনার প্রবনতা অনুযায়ী শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কংগ্রেস-জেএমএম ও আরজেডি জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পথে। বিজেপি মাত্র ২৪ আসনে এগিয়ে। জোট ৪৬, জেভিএম ৩, আজসু ৪ ও অন্যান্যরা ৪ আসনে এগিয়ে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৪১ আসন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস পিছিয়ে রয়েছেন। তিনি নির্দল প্রার্থী সরযু রায়ের থেকে ৭ হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী রাঁচিতে বিজেপির রাজ্য দফতরে পৌঁছেছেন এবং দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
ঝাড়খন্ডের মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ঔদ্ধত্য চুরমার করে দিয়েছেন বলে প্রতিক্রিয়া দিল এনসিপি। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত যা প্রবণতা, তাতে ফল খারাপ হতে চলেছে বিজেপির।
কংগ্রেসের ঝাড়খন্ডের ভারপ্রাপ্ত নেতা আরপিএন সিংহের দাবি, আমাদের জোটের রাজ্যে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। প্রবণতা ইতিবাচক, তবে চূড়ান্ত ফল না বেরনো পর্যন্ত মন্তব্য করতে পারছি না। যদিও আমরা পরিষ্কার জানিয়েছি, হেমন্ত সোরেন আমাদের জোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী।
জেভিএম, এজেএসইউ ও অন্যান্যরা ১০টি আসনে এগিয়ে।
ভোটের ফল এখনও স্পষ্ট নয়, উৎসব তো যে কেউ করতে পারে, বললেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস।
অন্যান্যরা ১১টি আসনে এগিয়ে।
বিজেপির ৩৪% ভোট, জেএমএম জোটের ৩৫% ভোট, এজেএসইউ-র ৮% ভোট, জেভিএমের ৬%
ফল প্রকাশের পর ঠিক করব, কোন দিকে যাব, বললেন বাবুলাল মারান্ডি।
বিজেপি এগিয়ে ২৯টিতে, জেএমএম জোট ৪১।
অন্যান্যরা ১১টি আসনে এগিয়ে।
বিজেপি এগিয়ে ৩১টিতে, জেএমএম-কংগ্রেস জোট ৩৯টিতে।
ঝরিয়ায় এগিয়ে কংগ্রেস, হাজারিবাগে এগিয়ে বিজেপি। বরহীতে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী।
লোহারডাঙায় এগিয়ে কংগ্রেস, কাঁকেতে বিজেপি। শিকারীপাড়া আসনে জেএমএম এগিয়ে, কোডার্মায় এগিয়ে গেলেন মন্ত্রী নীরা যাদব। দেওঘরে এগিয়ে বিজেপি।
জেভিএম, এজেএসইউ ও অন্যান্যরা ৩টি করে আসনে এগিয়ে।
বিজেপি এগিয়ে ১৯টি আসনে, জেএমএম জোট ৩৮টিতে।
কোডারমায় পিছিয়ে মন্ত্রী নীরা যাদব।
জামতাড়ায় এগিয়ে কংগ্রেস, দুমকায় জেএমএমের হেমন্ত সোরেন।
বিজেপি ৯টি আসনে এগিয়ে, জেএমএস জোট ১৯টিতে, জেভিএম-পি ২টিতে।
বিজেপি এগিয়ে গেল ১টি আসনে।
ধানবাদে এগিয়ে গেল জেএমএম।
বিজেপির এবার স্লোগান ছিল, আব কি বার ৬৫ পার। কিন্তু জেএমএম নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ভালই লড়াই দিচ্ছে।
এবিপি-সি ভোটার সমীক্ষা বলছে, জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি ৩৫টি আসন পেতে চলেছে, ৩২টি পাবে ক্ষমতাসীন বিজেপি, ৫টি এজেএসইউ ও ৩টি পেতে পারে জেভিএম-পি। ৬টি অন্যান্যরা পেতে পারে।
প্রেক্ষাপট
রাঁচি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অশান্তির মধ্যেই আজ ৮১ আসনের ঝাড়ঘণ্ড বিধানসভার ভোট গণনা। । ৩০ নভেম্বর শুরু হয় ৫ দফার ভোট, চলে শুক্রবার পর্যন্ত। রাজ্যের ২৪টি জেলা সদরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোট গণনা শুরু হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, বেলা ১টার মধ্যে ফলাফল স্পষ্ট হয়ে যাবে।
হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খণ্ড তৃতীয় বিজেপি শাসিত রাজ্য, যেখানে এ বছর বিধানসভা ভোট হয়েছে। লড়াই মূলত বিজেপি এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস ও আরজেডি জোটের মধ্যে। ২০১৪-য় প্রথমবার নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটে বিজেপির আসনসংখ্যা বাড়ে, ২০০৯-এর ১৮ থেকে ২০১৪-য় বেড়ে হয় ৩৭। এরপর ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (প্রজাতান্ত্রিক) বা জেভিএম-পি-র ৬ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বা জেএমএম পায় ১৭টি আসন, তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেস ৬টি। ৫টি যায় অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন বা এজেএসইউ-র ঝুলিতে। ২০০০ সালে বিহার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর এটি ঝাড়খণ্ডের চতুর্থ বিধানসভা ভোট।
রাঁচিতে মূল গণনা কেন্দ্র করা হয়েছে পান্দ্রা বাজার সমিতির কমপ্লেক্সে। সেখানে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। এক্সিট পোল বলছে, ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা।