রাঁচি: রাজনীতি ছাড়বেন না, বরং নিজে আলাদা রাজনৈতিক দল তৈরি করবেন- সাফ জানিয়ে দিলেন প্রবীণ প্রাক্তন জেএমএম নেতা ও ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তম মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। তার সঙ্গেই কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট বাঁধার রাস্তাও খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 


ইডির হাতে হেমন্ত সোরেন যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন, তখন তাঁর কাঁধেই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিল দল। কিন্তু হেমন সোরেন জামিন পেয়ে ফেরার পর থেকেই ক্রমশ দল থেকে দূরত্ব বেড়েছে তাঁর সঙ্গে। সম্প্রতি একেবারে ছাড়াছাড়ি হয়েছে। তারপরেই তিনটি সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন চম্পাই সোরেন। সেই তিনটির মধ্যে থেকেই একটিকে বেছে নিলেন তিনি। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (Jharkhand Mukti Morcha) বরিষ্ট এই নেতার সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করার পর থেকেই সে রাজ্যের রাজনীতির অলিন্দে একটি সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছিল যে চম্পাই সোরেন অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের দল তৈরির বিষয়েই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোটের রাস্তাও তিনি খুলে রেখেছেন। তিনি এদিন বলেছেন, 'আমি তিনটি সম্ভাবনার কথা বলেছিলাম। সন্ন্য়াস,সংগঠন অথবা বন্ধু। আমি সন্ন্যাস নেব না। আমি নতুন দলের সংগঠন শক্তিশালী করব। যদি রাস্তায় কোনও ভাল বন্ধু পাই তাহলে তাদের সঙ্গেই এগিয়ে যাব।' ঝাড়খণ্ডে জেএমএম কংগ্রেসের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে। ফলে রাজ্যে কংগ্রেসকে বাদ দিলে বড় দল হিসেবে রয়েছে বিজেপি। 



ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা চম্পাই সোরেনের ভিটে। সেখানেই অনুগামীদের নিয়ে একটি মিছিল করেন তিনি। সেখানে বলেছেন, 'ঝাড়খণ্ডের অত্যাচারিত, দলিত, আদিবাসী এবং গরিবদের ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য আমি লড়েছি।  আমার লক্ষ্য হল এই রাজ্যের উন্নতি। আমি সেভাবেই কাজ করব। আমি নিশ্চিত যে গ্রামীণ এলাকার জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমি আশা করছি পুরোপুরি সমর্থন পাব।'


বছর সাতষট্টির চম্পাই সোরেনকে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে ঝাড়খণ্ডের বাঘ বলা হয়। ১৯৯০-এর দশকে ঝাড়খণ্ডকে আলাদা রাজ্য হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। পরে ২০০০ সালে বিহার ভেঙে তৈরি হয় ঝাড়খণ্ড। X হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে চম্পাই সোরেন লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় দলের তরফেই একাধিকবার চরম অসম্মান পেয়েছেন তিনি। তারপরেই অন্য রাস্তায় হাঁটার কথা ভেবেছেন।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: দিদি-র তৈরি নিরাপদ শহরে আরও এক নির্ভয়ার করুণ পরিণতি: বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার