সিউড়ি: পাথর খাদানের মালিককে খুনের অভিযোগ। ঝাড়খণ্ড পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন বিজেপির আদিবাসী মোর্চার নেতা। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ধৃত সুনীল সোরেন। গোটা ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
১০ বছর আগে ঝাড়খণ্ডে খুন হয়েছিলেন পাথর খাদানের মালিক। সেই ঘটনায় বীরভূম থেকে গ্রেফতার হলেন বিজেপির আদিবাসী মোর্চার নেতা। সোমবার রাতে সিউড়ির বাড়ি থেকে সুনীল সোরেনকে গ্রেফতার করে ঝাড়খণ্ডের পুলিশ। মাস কয়েক আগেও বীরভূমের আদিবাসী গাঁওতা নেতা ছিলেন সুনীল। সম্প্রতি তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। গেরুয়া শিবিরের একাধিক জেলার আদিবাসী মোর্চার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। আর এখানেই চক্রান্তের অভিযোগ তুলছে বিজেপি।
রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, খুনের ঘটনা ২০১০-এ। বিজেপিতে যোগ দিল আর তখনই গ্রেফতার করে নিল। ঝাড়খণ্ড পুলিশ সূত্রে খবর, বারবার আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হলেও ধরা দেননি তিনি। এরপর ২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭৪ নম্বর ধারায় সুনীল সোরেনের বিরুদ্ধে ফের মামলা হয়। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ডের পুলিশ।
বর্তমানে প্রতিবেশী এই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে ইউপিএ-র শরিক ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সরকার। বিজেপি চক্রান্তের অভিযোগ তুললেও এই গ্রেফতারির পিছনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও হাত নেই বলে দাবি করছে তৃণমূল। রামপুরহাটের মন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ধরে নিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের পুলিশ, তৃণমূলের কী সম্পর্ক? কেউ খুনের ঘটনায় যুক্ত, আসলে সব ক্ষেত্রে তৃণমূলের ভূত দেখছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির আদিবাসী মোর্চা নেতার গ্রেফতারি নিয়ে তুঙ্গে তরজা।