নয়া দিল্লি: জোশীমঠকে (Joshimath) বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)-শাসিত উত্তরাখণ্ড সরকার (Uttarakhand Govt)। হিমালয়ের (Himalaya) কোলে এই ছোট্ট জনপদে একের পর এক বাড়িতে বাড়ছে ফাটল। ৬০৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।  বিপজ্জনক এলাকা থেকে ৬৮টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।                                                                                     

  


তবে বলা হচ্ছে যে আরও অন্তত ৯০টি পরিবারকে সরিয়ে নিতে হবে। গাড়ওয়াল কমিশনার সুশীল কুমার জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন হিমালয় শহরের চার-পাঁচটি জায়গায় ত্রাণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। গতকাল জোশীমঠ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ৭টি সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। আজই বিপর্যস্ত এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে জোশীমঠে যাচ্ছেন বর্ডার ম্যানেজমেন্টের সচিব এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।


হিমালয়ের প্রবেশদ্বার বলা হয় জোশীমঠকে। আউলি, হেমকুণ্ড সাহিব থেকে শুরু করে আরও একাধিক পর্যটনস্থল, ট্রেকিং রুটে যাওয়ার জন্য জোশীমঠ হয়েই যেতে হয়। সেখানে এমন পরিস্তিতিতে পর্যটন ব্যবসায়ীরাও প্রবল আশঙ্কায়। স্থানীয়দের একটি অংশের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই ভূমিধসের মতো সমস্যা হচ্ছে। এর আগেও উত্তরাখন্ডে একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে। মেঘভাঙা বৃষ্টি, বন্যা, ধসের মতো একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে তছনছ হয়েছে এই রাজ্য। ফের আরও একবার বিপদের আশঙ্কা কাঁটা সকলেই।   


আরও পড়ুন, একটানা ১৩,৫৬০ কিলোমিটার উড়ে তাসমানিয়ায় অবতরণ, নয়া বিশ্বরেকর্ড ৫ মাস বয়সী পাখির


সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই জোশীমঠ -আউলির রোপওয়ে পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফেও পরিস্থিতির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যাঁদের বাড়িঘর ধসের জেরে ভেঙে গিয়েছে তাঁদের বাড়ি দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে সেই বাড়ি তাঁরা কবে পাবেন তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। 


প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, ওয়াদিয়া ইন্সটিটিউট এবং IIT রুরকির ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে। উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির নির্দেশে তৈরি হয়েছে সেই দল।